Class 4 Bengali Question & Answer – সবার আমি ছাত্র

Published On:

Class 4 Bengali Question & Answer – সবার আমি ছাত্র

সবার আমি ছাত্র যদি যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু পুলিশ সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে ডাউনলোড করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে।

যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে সবার আমি ছাত্র অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে।

আশা করব  সবার আমি ছাত্র সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।

২০২৪ এর যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।

চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ।

Class 4 Bengali Question & Answer – সবার আমি ছাত্র

১. সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর :সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম ‘ছন্দের টুংটাং’,‘বীর শিকারি।

২. তিনি ১৯৫৬ সালে কী পদক পেয়েছিলেন?
উত্তর : ভুবনেশ্বরী পাদক পেয়েছিলেন।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

৩.১ কার উপদেশে কবি দিলখোলা হন?
উত্তর : খোলা মাঠের উপদেশে।

৩.২ পাষাণ কবিকে কী শিক্ষা দিয়েছিল?
উত্তর : আপন কাজে কঠোর হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিল।

৩.৩ কবি কার কাছ থেকে কী ভিক্ষা পেলেন?
উত্তর : শ্যামবনানীর কাছ থেকে সরসতার ভিক্ষা পেলেন।

৩.৪ কে কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল?
উত্তর : চাঁদ কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল।

৩.৫ নদীর কাছ থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর : নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়।

৪. সন্ধি করে লেখো :
উত্তর :রত্ন + আকর = রত্নাকর।
মেঘ + আলোক = মেঘালোক।

৫. সমার্থক শব্দ লেখো :
চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, বায়ু, নদী, পৃথিবী, সাগর।

উত্তর :

  • চাঁদ ➙চন্দ্র, শশাঙ্ক, শশী, সুধাকর।
  • সূর্য ➙দিবাকর, দিননাথ, সুরজ, অংশুমান, জ্যোতির্ময়।
  • পাহাড় ➙পর্বত, ভূধর, গিরি, শৈল।
  • বায়ু ➙বাতাস, হাওয়া, পবন, অনিল।
  • নদী ➙প্রবাহিনী, তরঙ্গিনী, কল্লোলিনী।
  • পৃথিবী ➙ধরিত্রী, ধরণি, ধরা, বিশ্ব, জগৎ।
  • সাগর ➙সমুদ্র, সিন্ধু, পারাবার, রত্নাকর।

৬. বাক্যরচনা করো :

উত্তর :

  1. উদার ➙দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের হৃদয় ভীষণ উদার ছিল।
  2. মহান ➙আমাদের দেশে অনেক মহান ব্যক্তি জন্মেছিলেন।
  3. মন্ত্রণা ➙কারও কাছ থেকে কু-মন্ত্রণা নিতে যেয়ো না।
  4. শিক্ষা ➙শিশু প্রথম শিক্ষা লাভ করে মায়ের কাছ থেকেই।
  5. সহিঞ্চুতা ➙শান্তিপূর্ণ জীবন চাও তো সহিঞ্চুতা অবলম্বন করো।
  6. সন্দেহ ➙লোকটাকে দেখে পুলিশ সন্দেহ করে ধরে নিয়ে গেল।
  7. কৌতূহল ➙যতই কৌতূহল বাড়বে ততই শিখতে পারবে।
  8. ঝরনা ➙হিমালয় পর্বতে প্রচুর ঝরনা দেখতে পাওয়া যায়।
  9. কমলা + আসনা = কমলাসনা।

৭. নীচের বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্য রূপ লেখো :

উত্তর :

  • কর্মী ➙ কর্ম।
  • মৌন ➙মৌনতা।
  • মধুর ➙মাধুর্য, মধুরতা।
  • কঠোর ➙কঠোরতা।
  • বিরাট ➙বিশালতা।

৮. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখো :

উত্তর :

  • শিক্ষা ➙ শিক্ষিত।
  • মন্ত্র ➙মন্ত্রণা।
  • বায়ু ➙বায়বীয়।
  • মাঠ ➙মেঠো।
  • তেজ ➙তেজি।

৯. কবিতা থেকে সর্বনাম শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে লেখো : (অন্তত ৫টি)
উত্তর : আমায়, আমি, তাহার, আপন, আমার,।

Class 5 Bengali Question & Answer

১০. গদ্যরূপ লেখো :

উত্তর :
১০.১. ‘কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।’
উত্তর : বায়ুর কাছ থেকে আমি কর্মী হওয়ার মন্ত্র পেয়েছি।

১০.২. ‘সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয় আপন তেজে জ্বলতে।’
উত্তর : সূর্য আমাকে আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।

১০.৩. ‘ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর, অন্তর হোক রত্নআকর।’
উত্তর : সাগর ইঙ্গিত দিয়ে শেখায় অন্তর রত্নআকর হোক।

১০.৪. ‘শ্যামবনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা।’
উত্তর : আমাকে শ্যামবনানী সরসতার ভিক্ষা দিল।

১০.৫. ‘শিখছি সে সব কৌতূহলে সন্দেহ নাই মাত্র।’
উত্তর : কৌতূহলে সেসব শিখছি মাত্র সন্দেহ নেই।

১১. ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : কবিতায় আকাশ-বাতাশ-পাহাড়-প্রান্তর, সূর্য-চন্দ্র-সাগর-নদী এবং মৃত্তিকা-পাষাণ-ঝরনা ও শ্যামবনানীকে শিক্ষক বলা হয়েছে। এরাই কবিকে নানাভাবে নানান শিক্ষা দান করেছে। কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছেন। বায়ু অর্থাৎ বাতাস শিখিয়েছে কর্মী হওয়ার মন্ত্র পাহাড় শিখিয়েছে মৌন মহান হওয়ার শিক্ষা। খোলা মাঠ অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রান্তরের কাছ থেকে পাওয়া গেছে দিলখোলা অর্থাৎ উদারচিত্ত হওয়ার উপদেশ। সূর্য মন্ত্রণা অর্থাৎ পরামর্শ দিয়েছে কীভাবে আপন তেজে জ্বলে বেঁচে থাকা যায়। চাঁদ শিখিয়েছে মিষ্টি হাসি হেসে মধুর কথা বলতে। সাগর বা সমুদ্র শেখায় অন্তরকে রত্নআকর করে গড়ে তুলতে। নদী শিখিয়েছে আপন বেগে চলতে। মাটির কাছে পাওয়া গেছে সহিষ্ণু হওয়ার শিক্ষা। পাষাণ বা পাথর দিয়েছে আপন কাজে কঠোর হওয়ার দীক্ষা। ঝরনা জাগিয়েছে মানবহৃদয়ে গানের সুর। শ্যামবনানী দিয়েছে সরসতা লাভের ভিক্ষা। এভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রাকৃতিক শক্তির কাছ থেকে কবিতায় শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কবিতায় ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ শব্দটি বোঝানো হয়েছে।

১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কীরূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখো :

উত্তর :

  1. আকাশ -উদার হওয়ার শিক্ষা আমরা পাই অসীম আকাশের কাছ থেকে।
  2. বাতাস -নিরন্তর বয়ে চলেছে বাতাস। তাই তার কাছ থেকে আমরা মুহূর্ত মাত্র অলস না হয়ে থেকে কর্ম করে যাওয়ার শিক্ষা অর্জন করতে পারি।
  3. পাহাড় -যুগযুগব্যাপী পাহাড় মৌন হয়ে আছে। পাহাড়ের কাছ থেকে আমরা মৌন হওয়ার শিক্ষা লাভ করে ব্যক্তিত্বকে গাম্ভীর্যময় করে তুলতে পারি।
  4. খোলামাঠ -খোলামাঠ অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রান্তরে দৃষ্টি রাখলেই আমাদের অন্তর হয় প্রশস্ত। তাই খোলামাঠের কাছে আমরা উজাড় হৃদয়ে মানুষকে তথা সমগ্র জীবসম্প্রদায়কে ভালোবাসা দেওয়ার শিক্ষা পেতে পারি।
  5. সূর্য -অনন্ত তেজের আকর হল সূর্য। সূর্যের কাছ থেকে আমরা তেজস্বিতা অবলম্বনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। অর্থাৎ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো তেজ আমরা পেতে পারি সূর্যের কাছ থেকে।
  6. চাঁদ -সমাজজীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। অর্থাৎ, অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে বাক্য বিনিময় করা, মধুর সুরে কথা বলা ইত্যাদি আমরা শিখতে পারি চাঁদের অপূর্ব মাধুর্য দেখে।

১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।

উত্তর : কবিতায় কবি নিজেই আরও কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে সাগর, নদী, মাটি, পাষাণ, ঝরনা এবং শ্যামবনানীর উল্লেখ করেছেন। মাটির কাছ থেকে আমি সহিঞ্চুতা অবলম্বনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। জীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের চলার পথে প্রতি মুহূর্তে হয়তো বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। সুতরাং সহিষ্বতা অবলম্বন করতে না শিখলে যে-কোনো মুহূর্তে দ্বন্দ্বের মুখে পড়তে হবে। পাষাণ যেভাবে কঠোর হয়ে আছে, সেভাবে আমি নিজের কাজে কঠোর হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিতে পারি। ঝরনা যেভাবে নিরন্তর প্রবাহিণী হয়ে মানবহৃদয়ে সংগীতের মূর্ছনা জাগায় তাতে আমি আমার হৃদয়েও সংগীতের সুর জাগিয়ে তুলতে পারি। শ্যামবনানী অর্থাৎ শ্যামল বনরাজি তার সরসতা দিয়ে মানবদৃষ্টিকে করে সজীব, সতেজ। আমি শ্যামবনানীর কাছ থেকে হৃদয়ে সরসতা অর্জনের শিক্ষা নিতে পারি। কবিতায় কবির উল্লিখিত ওই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ছাড়াও আরও নানাবিধ প্রাকৃতিক উপকরণ তথা বিভিন্ন প্রাণীসমূহের কাছ থেকে কিংবা বিভিন্ন গাছপালার কাছ থেকেও হাজার রকমের শিক্ষা অর্জন আমি করতে পারি।

১৪. এমন একজন মানুষের কথা লেখো যার কাছ থেকে অহরহ তুমি অনেক কিছু শেখো।

উত্তর : জীবনের বেশির ভাগ সময় আমি কাছে পাই আমার মাকে। আমার মায়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখি। সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃকৃত্য শেষ করে নিজের কাজে মনঃসংযোগ করা আমি মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। মাকে আমি দেখি, সকাল থেকে দুধওয়ালা, খবরকাগজওয়ালা, মাছওয়ালা, কাপড় ধোলাইকারী এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে যা যা প্রয়োজন তা মধুর বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার অভ্যাস। মায়ের কাছে শিখি আমি প্রফুল্ল মনে ব্যস্ত হাতে সংসারের হাজার কাজ গুছিয়ে নেওয়া। মায়ের কাছে শিখি আমি সঠিক সময়ে সব কাজ ঠিকঠাক করে নেওয়া। এভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের কাছে আমি শিখি জীবনে সুস্থভাবে এবং হাসিমুখে বেঁচে থাকার আরও অনেকরকম শিক্ষা।

১৫. সবার আমি ছাত্র কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা :

উত্তর :আমরা স্কুলকলেজে যে লেখাপড়া শিখি তা পাঠ্যপুস্তক থেকে। শিক্ষক-অধ্যাপকের কোনো বিশেষ বিষয়ে আলোচনা থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করি। কিন্তু কবি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমাদের বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, স্কুল কলেজের শিক্ষাগ্রহণই যথেষ্ট নয়। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবসময়ই ঘরে বাইরে প্রত্যেক ব্যক্তি বা বস্তুর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। কবি বলেছেন, যে পরিবেশে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি তা থেকে শেখার আছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিক্ষা। আকাশের কাছ থেকে কবি উদার হতে শিখেছেন। বায়ুর কাছ থেকে কর্মী হতে শিখেছেন। কবি শিখেছেন পাহাড়ের কাছ থেকে মৌন মহান হতে, খোলা মাঠের কাছে দিলখোলা হতে, সূর্যের কাছে আপন তেজে জ্বলতে, চাঁদের কাছে মধুর কথা বলতে। কবি শিখেছেন সাগরের কাছে রত্নাকরের মতো হৃদয় গড়তে, নদীর কাছে আপন বেগে চলতে। তিনি আরও শিখেছেন মাটির কাছে সহিমু হতে, পাষাণের কাছে আপন কাজে সুদৃঢ় হতে, ঝরনার কাছে সংগীত শিখতে, শ্যামবনানীর কাছে সরসতা লাভ করতে কবি এই বিশ্বজোড়া প্রকৃতির এই পাঠশালার ছাত্র হয়েছেন। তিনি পাঠ্য বইয়ের পাতায় পাতায় দিনরাত শুধুমাত্র কৌতূহল নিয়েই শিক্ষা অর্জন করেছেন। কিন্তু পৃথিবীর পাতা বিরাট। সেই পাতা থেকে শিখতে হবে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।

WhatsApp Grope
Telegram Channel

× close ad