Class 4 Bengali Question & Answer – বনের খবর

Last Updated:

Class 4 Bengali Question & Answer – বনের খবর লেখক প্রমদারঞ্জন রায়

বনের খবর যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু পুলিশ সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা ছেলেবেলার দিনগুলি পিডিএফ তাকে ডাউনলোড করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে।

যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে বনের খবর অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে।

আশা করব  বনের খবর সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।

২০২৪ এর যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই বনের খবর সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে। বনের খবর

চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ।

Class 4 Bengali Question & Answer – বনের খবর

১. প্রমদারঞ্জন রায় চাকরি সূত্রে কোন্ কোন্ দেশে ঘুরেছেন?
উত্তর :প্রমদারঞ্জন রায় চাকরিসূত্রে ভারত, বর্মা, শ্যামদেশের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন।

২. লীলা মজুমদার তাঁর কে ছিলেন?
উত্তর : লীলা মজুমদার ছিলেন তাঁর কন্যা।
৩. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
ক্রমাগত, পাঞ্জা, পশ্চিম, কিলিবিলি, প্রাণপণ।

উত্তর :ক্রমাগত = ক্ + র্ + অ + ম্ + আ + গ্ + অ +ত + অ
পাঞ্জা = প্ + আ + ঞ + জ্ + আ
পশ্চিম = প্ + অ + শ্ + চ্ + ই + ম্
কিলিবিলি = ক্ + ই + ল্ + ই + ব্ + ই + ল্ + ই
প্রাণপণ = প্ + র্ + আ + ণ্ +প্ + অ + ণ্

৪. ‘বনের খবর গল্পটিতে এমন অনেক শব্দ আছে যা হাইফেন (-) দিয়ে যুক্ত। যেমন ‘সাড়ে ছশো-সাতশো’ ‘দশ-বারোজন’ ইত্যাদি। গল্পটিতে এরকম কতগুলো শব্দ খুঁজে বার করে নীচের বাক্সটি ভরতি করো : বনের খবর

উত্তর :চার-পাঁচ, নটা দশটা, পনেরো-কুড়ি।
আট-দশটা ‘গুলি, তিন-চারটে ডাক।
সত্তর-আশি হাত, পাঁচ-সাতটা।
পঞ্চাশ-ষাট হাত।
৫. ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি ব্যবহার করে মৌলিক বাক্যরচনা করো :

উত্তর :কিলিবিলি ➙ অল্প জলে একগাদা ছোটো মাছ কিলিবিলি করছিল।
হুড়মুড়➙ চোখের সামনে মাটির বাড়িটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল।
মিটমিট ➙ মুখোমুখি হয়ে শেয়ালটা আমাকে মিটমিট করে দেখছিল।
পটপট➙ প্রবল বাতাসে বাঁশগাছগুলো পটপট করেই ভেঙে গেল।
মড়মড়➙ একটা মড়মড় আওয়াজ শুনে একটু ঘাবড়ে গেলাম।
থরথর➙ শীতে বুড়ো থরথর করে কাঁপছিল।
গুড়গুড়➙ মেঘের গুড়গুড় শব্দ শুনেই দৌড়ে ঘরে ঢুকলাম।
ফোঁসফোঁস➙ সাপের ফোঁসফোঁস গর্জন কানে লেগে চমকে উঠলাম।
৬. একই শব্দ পরপর দু-বার ব্যবহৃত হয়েছে এমন কয়টি শব্দ তোমরা গল্পে খুঁজে পেয়েছো তা লেখো : যেমন— জলে-জলে। বনের খবর

উত্তর : এক-এক, আগে-আগে, চলতে-চলতে, ভাবতে-ভাবতে, বলতে-না-বলতে, নালায়-নালায়, ফোঁস -ফোঁস, মিট-মিট, ধীরে-ধীরে, পট-পট, মড়-মড়, থর-থর, ভাঙতে -ভাঙতে, দাগে-দাগে, জলে-জলে, বসে-বসে, গুড়-গুড়,বড়ো-বড়ো, করতে-করতে।

৭. নীচের অনুচ্ছেদে কয়টি বাক্য আছে লেখো :

উত্তর :মোট ৯টি বাক্য আছে। যথাক্রমে-

(১) বেলা নটা-দশটার আগে আর সূর্য দেখা যায় না।
(২) এক-এক জায়গায় এমনি ঘন বন যে আকাশ দেখবার জো নেই।
(৩) ঠিক মনে হয় যেন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
(৪) আমি সকলের আগে আগে চলি।
(৫) সঙ্গে একজন বুড়ো লুশাই থাকে।
(৬) সে বড়ো শিকারি।
(৭) তার পিছনে দুজন খালাসি।
(৮) তাদের মধ্যে শ্যামলালের হাতে আমার খাবার আর জল।
(৯) তিনজনের হাতেই এক-একখানি দা।

৮। গল্পটিতে কোন কোন পশুপাখির উল্লেখ আছে তার একটি তালিকা তৈরি করো। প্রতিটি পশু এবং পাখি সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো :

উত্তর :গল্পটিতে আছে যথাক্রমে—বাঘ, হাতি, গন্ডার, হরিণ, হনুমান (হুন্নুমান), বানর, বুনো মোষ ইত্যাদি পশু আছে। গল্পটিতে শুধুমাত্র ফেজেন্ট (সুন্দর পাখি)-এর নাম আছে।

বাঘ ➙
(১) সুন্দরবনের বাঘ সবচেয়ে বড়ো।
(২) আজকাল সার্কাসে বাঘ দেখা যায় না।

হাতি ➙
(১) হাতি সবচেয়ে শক্তিমান পশু।
(২) আগেকার দিনে রাজা-উজিররা হাতি পুষতেন।

গন্ডার ➙
(১) জলদাপাড়ার অরণ্যে অনেক গন্ডার দেখা যায়।
(২) কলকাতার চিড়িয়াখানায় গোটা দশেক গন্ডার আছে।

হরিণ ➙
(১) হরিণ শিকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
(২) মারীচ-রাক্ষস সোনার হরিণ সেজে রামচন্দ্রকে বনে নিয়ে গিয়েছিল।

বানর ➙
(১) ইতিহাস বলে, মানুষের পূর্বপুরুষ বানর ছিল।
(২) বানর কলা খেতে খুব ভালোবাসে।

ফেজেন্ট ➙
(১) ফেজেন্ট একটি সুন্দর পাখি।
(২) ইদানীংকালে ফেজেন্ট প্রায় দেখা যায় না।

হনুমান(হুন্নুমান )➙
(১) লক্ষ্মণের প্রাণ বাঁচাতে হনুমান গন্ধমাদন পর্বত এনেছিল।
(২) এক লাফে হনুমান বহুদূর পার হতে পারে।

বুনোমোষ➙
(১) পাহাড়ি অরণ্যে বুনোমোষ দেখা যায়।
(২) বাঘ এবং বুনোমোষ একই অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়।

৯. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৯.১ লুশাই পাহাড়ের বিস্তার কতখানি জায়গা নিয়ে?
উত্তর :লুশাই পাহাড়ের বিস্তার সাড়ে-ছশো সাতশো বর্গমাইল জায়গা নিয়ে।

৯.২ লুশাই পাহাড়কে ভয়ংকর জায়গা কেন বলা হয়েছে? বনের খবর
উত্তর : লুশাই পাহাড়ের বিস্তার ছিল সাড়ে-ছশো সাতশো বর্গমাইল জায়গা নিয়ে। এর মধ্যে একটাও গ্রাম ছিল না, পথও ছিল না। সেই ঘোর বনে মানুষের নামগন্ধ ছিল না, ছিল কেবল জানোয়ারের কিলিবিলি। বেলা নটা-দশটার আগে সেখানে সূর্য দেখা যায় না। আর এক এক জায়গায় এমন ঘন বন যে আকাশ দেখা যায় না। তাই লুশাই পাহাড়কে ভয়ংকর জায়গা বলা হয়েছে।

৯.৩ হাতির রাস্তা পাওয়া গেলে লোকজনের কেন খুব মজা হল?
উত্তর : লোকজনদের রোজ বন কেটে রাস্তা তৈরি করতে হত। একদিন বন না কেটে পনেরো কুড়ি ফুট চওড়া বুনো হাতিদের রাস্তা পাওয়া গেল তাই লোকজনের খুব মজা হল।

৯.৪ গন্ডার দেখে শ্যামলাল কী কী করেছিল?
উত্তর : গন্ডার দেখে শ্যামলাল প্রাণ বাঁচাবার জন্য পথের খোঁজে চলে গিয়েছিল।

Read More:- Class 4 All Subject

৯.৫ দ্বিতীয় দিন বন্দুক এবং বনের পশুপাখি থাকা সত্ত্বেও শিকার করতে পারা যায়নি কেন?
উত্তর : দ্বিতীয় দিন বন্দুক এবং বনের পশুপাখি থাকা সত্ত্বেও শিকার করতে পারা যায়নি কারণ ঘন বন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। শিকার দেখতে না দেখতেই জঙ্গলে মিলিয়ে যাচ্ছিল।

৯.৬ পাকোয়া নদীর বর্ণনা দাও। বনের খবর
উত্তর : পাকোয়া নদীটি ছিল সত্তর-আশি হাত চওড়া এবং এক কোমর জলে পূর্ণ।

৯.৭ লেখকের হুঁ-উ-উ চিৎকার শুনে হাতিরা কী করেছিল?
উত্তর : লেখকের হুঁ-উ-উ চিৎকার শুনে হাতিরাও পাহাড়ের উপর থেকে হুঁ-উ-উ করে ডেকে উঠেছিল এবং লেখকের থেকে পঞ্চাশ-ষাট হাত দূরের হাতিরা গুড়গুড় শব্দ করে আর নাকে ফোঁসফোঁস আওয়াজ করে তার জবাব দিয়েছিল।

৯.৮ রাতে কোথায় তাঁবু খাটানো হল?
উত্তর : রাতে পাকোয়া নদীর ওপারে বন কেটে তাঁবু খাটানো হল।

৯.৯ মাহুতরা রাতে কোথায় হাতিদের বেঁধে রাখল?
উত্তর : মাহুতরা সাধারণত হাতিদের চরে খাবার জন্য কাছাকাছি ছেড়ে দেয়। কিন্তু সেদিন রাতে মাহুতরা তাঁবুর কাছাকাছি হাতিদের বেঁধে রাখল।
১০.১ কীভাবে রাতে বুনো হাতি তাড়ানো হল?

উত্তর : নদীর এপারে তাঁবুর কাছে লেখকের হাতি দুটিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। লুশাইরা শুকনো বাঁশের মশাল তৈরি করে লম্বা কাঁচা বাঁশের আগায় বেঁধে রেখেছিল। খুব বড়ো ধুনি জ্বালা হয়েছিল আর পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। অন্ধকার হতেই হাতিগুলো এপারে আসবার জন্য নদীতে নামতেই লেখকদের হাতি দুটো ছটফট করে আর চিৎকার করতে লাগল। আর তখুনি লোকেরা প্রাণপণে মশাল ঘুরিয়ে বিকট চিৎকার করতে করতে ছুটে আসে। এতেই হাতিগুলো দৌড়ে ওপারের বনে ঢুকে পড়ে। এইভাবে সারা রাত ধরে বুনো হাতি তাড়ানো হয়েছিল। নিজের ভাষায় লেখো।

১০.২ লেখকের শুকনো নালায় নামার অভিজ্ঞতা নিজের ভাষায় লেখো। বনের খবর

উত্তর : শুকনো নালায় লেখক নামলেন। তাঁর আগে বুড়ো লুশাই। আর তাঁর পিছনে শ্যামলাল। এমত দশায়, তাঁদের সামনেই ভারী একটা জলকাদা তোলপাড়ের শব্দ হল। তাঁরা ব্যর্ন্ত পায়ে দুই লাফে পিছন দিকের পাড়ে আবার ফিরে এলো। দেখলেন জলকাদায় বিশাল দেহ এক গন্ডার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দেখলে মনে হবে যমদূতের দাদামশাই। রেগেমেগে দাঁড়িয়ে ফোঁস ফোঁস করছে। চোখদুটো লাল মিটমিট করছে। কান দুটো হেলানো পিছন দিকে লেখক খুব সাবধানে তাকে গুলি চালানোর কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তা করতে হল না। গন্ডারটা মিনিট খানেক দাঁড়িয়ে থেকে অকস্মাৎ একটা হুঙ্কার দিয়ে দৌড়ে পাহাড়ে উঠে গেল।

× close ad