Madhyamik Geography Suggestion 2024 | মাধ্যমিক উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সাজেশন ২০২4

Last Updated:

Madhyamik geography upagraha bhu boichitra suchak manchitra
মাধ্যমিক উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সাজেশন ২০২4

Madhyamik Geography Suggestion 2024 মাধ্যমিক উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সাজেশন ২০২4 যদি যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু full সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে। Madhyamik উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র Geography Suggestion 2024

যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে। Madhyamik Geography Suggestion 2023

আশা করব সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।

Madhyamik Geography Suggestion 2023 দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।

চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ। Madhyamik Geography Suggestion 2023


Madhyamik Geography Suggestion উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র 2024

মণ্ডল প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 – Madhyamik Geography Suggestion 2024 বহুৰিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন

প্রশ্নের মান – ২

1. দূর সংবেদন কী?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে দূরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুন্দর নিখুঁত ধারণা গড়ে তােলার পদ্ধতিকে দূরসংবেদন বা Remote Sensing বলে। এই পদ্ধতির দুটি প্রধান উপাদান হল –
(i) বিমান চিত্র (Aerial Photo) এবং
(ii) উপগ্রহ চিত্র (Satellite Imagery)।

2. বিভেদন ৰা Resolution কাকে বলে?
উত্তর : সংবেদক (Sensor)-এর সাহায্যে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে গৃহীত কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রের বিভিন্ন বস্তু, ক্ষেত্র, উপাদানের পৃথক করণের ক্ষমতাকে বিভেদন বা Resolution বলে।

3. উপগ্রহ চিত্রে ব্যান্ড’ (Bond) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : পৃথিবীর কোনাে বস্তু বা পদার্থ থেকে বিচ্ছুরিত অথবা প্রতিফলিত তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণগুলি উপগ্রহ সংবেদনে স্থাপিত ডিভাইসের যে অংশে লিপিবদ্ধ হয় তাকে ‘ব্যান্ড (Band) বলে।

4. কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তর : কৃত্রিম উপগ্রহ হল তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মানুষ দ্বারা নির্মিত এক অত্যাধুনিক যন্ত্র যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে বারবার প্রদক্ষিণ করে।

5. Pixel কাকে বলে?
উত্তর : উপগ্রহ প্রতিচ্ছবির ক্ষুদ্রতম অঙ্গানু বা উপাদানকেই পিক্সেল বলা হয়। যার নির্দিষ্ট value, address থাকে। এই address আবার দুই প্রকার। যথা –
(i) Latitude/ Longitude এবং
(i) Row/Column। এক একটি পিক্সেল ভূ-পৃষ্ঠের নির্দিষ্ট অংশকে নির্দেশ করে।

6. দূরসংবেদন ব্যবস্থায় (True Colour Composition (TCC) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : উপগ্রহ প্রতিচ্ছবিতে ভূমির ব্যবহার দেখাবার জন্য সাধারণত তিনটি রঙ যথা—লাল, সবুজ, নীল (RGB) বা এদের সংমিশ্রণ করে দেখানাে হয়। তাই সাধারণত ও ব্যান্ডের উপগ্রহের মাধ্যমে কোনাে প্রতিচ্ছবি TCC প্রতিস্থাপনের জন্য Red, Green, Blue Channel ব্যবহৃত হয়। ফলে লাল বস্তুকে লাল, নীল বস্তুকে নীল সবুজ বস্তুকে সবুজ ব্যান্ডের রঙ এ দেখানাে হয়, একে TCC বলে।

7. সেন্সর কী?
উত্তর : সেনসিং’ কথাটির অর্থ—কোনাে বস্তুকে পর্যবেক্ষণ করা। সুতরাং সেনসর হল একটি যন্ত্র যা মহাকাশ থেকে ভূ-পৃষ্ঠের কোনাে নির্দিষ্ট লক্ষ বস্তুর তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ গ্রহণ করে, তাকে চিহ্নিত করতে পারে। র্যাডার, ল্যাডার, অপটিক্যাল স্ক্যানার এর উদাহরণ।

8. ছদ্ম রং (False Colour Composite) কী?
উত্তর : উপগ্রহ চিত্র প্রস্তুত করার সময় লক্ষ্যবস্তুর প্রকৃত রঙের বহিঃপ্রকাশ না করে যদি অন্য রং দ্বারা প্রকাশ করা হয় , তবে তাকে ছদ্মরঙ বা FCC বলে। FCC- এর পুরাে কথা হল False Colour Composite। উদাহরণ : যেমন – IRS1A স্যাটেলাইটের BAND ও FCC গুলি হল পর্যায়ক্রমে নিম্নরূপ –
নীল > সবুজ
সবুজ > লাল
লাল > অবলোহিত

9. তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালী কী?
উত্তর : কোনো পদার্থ থেকে তড়িৎচৌম্বক বিকিরণের ফলে বিভিন্ন কম্পাঙ্কের তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। উৎসের শক্তির উপর নির্ভর করে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ব্যপ্তির অবিচ্ছিন্ন কম্পাঙ্কের তরঙ্গগুচ্ছ তৈরী হয়। এই সমগ্র তরঙ্গগুচ্ছকে এককথায় বলা হয় তড়িৎচৌম্বক বর্ণালী।

10. সমােন্নতি রেখা কী?
উত্তর : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সমান উচ্চতাবিশিষ্ট স্থানগুলোকে মানচিত্রের ওপর যে রেখা দ্বারা সংযুক্ত করা হয় সে রেখাকে সমোন্নতি রেখা বা সমান উচ্চতা বিশিষ্ট রেখা বলে। 11. স্পট্ হাইট (Spot Height) কাকে বলে? Ans: মানচিত্রে বিন্দু বা ডট্ দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোনো স্থানের উচ্চতাকে দেখানো হলে তাকে Spot Height বলে । এর সাহায্যে পাহাড় বা পর্বতের শিখরের উচ্চতা ও বিশেষ কতকগুলি স্থানের উচ্চতা দেখানো হয় ।


Madhyamik History Suggestion 2023

উপগ্রহ ও ভূ–বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 – Madhyamik Geography Suggestion 2024
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরখমী প্রশ্ন : (প্রশ্নমান-3)

প্রশ্নমান – ৩

1. উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখো।

উত্তর : উপগ্রহ চিত্রের গুরুত্ব : উপগ্রহ চিত্রের গুরুত্ব অসীম। এই চিত্রের বিভিন্ন গুরুত্বগুলি হল –

১) আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য : এই চিত্র আবহাওয়ার পূর্বাভাসসহ, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা দেয়। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবনহানি রােধ করা যায়।

২) পরিবেশ, ভূমি ও সম্পদ সম্পর্কে ধারণা : উপগ্রহ চিত্র ভূসম্পদের জরিপ ও বণ্টনের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। দুর্গম ও দুর্ভেদ্য এলাকার তথ্য সংগ্রহ এবং মানচিত্র তৈরি করা ছাড়াও উপগ্রহ চিত্র অরণ্যভূমি, শস্য উৎপাদন, মাটির প্রকৃতি, ক্ষয় ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এর ফলে পরিবেশ এবং ভূমির ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ভূমি ব্যবহার সম্পর্কে পরিকল্পনা নেওয়া সহজ হয়।

৩) উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ : আঞ্চলিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে উপগ্রহ চিত্রের গুরুত্ব খুব বেশি।

৪) আগামী দিনের পরিকল্পনা : পরিবেশ, আবহাওয়া ও মহাকাশ বিজ্ঞানে উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার আগামীদিনে যেমন – আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুতে সুবিধা দেবে তেমনই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারেও সাফল্য পাওয়া যাবে।

2. উপগ্রহ চিত্রের পর্যায়গুলি লেখাে।

উপগ্রহ চিত্র তােলার বিভিন্ন পর্যায় : উপগ্রহ চিত্র তােলার কয়েকটি পর্যায় আছে এগুলি হল —

১. প্রথম পর্যায় – মহাকাশে উপগ্রহ প্রেরণ : উপগ্রহ চিত্র তােলার প্রথম পর্যায়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা বা সেন্সরযুক্ত কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে হয়। এজন্য উপগ্রহটিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে রকেটের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় প্রতিস্থাপন করা হয়।

২. দ্বিতীয় পর্যায় – প্রতিফলিত বা বিকিরিত সৌররশ্মি গ্রহণ : এরপর কৃত্রিম উপগ্রহে যুক্ত সেন্সরগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তু বা উপাদান থেকে প্রতিফলিত সৌররশ্মির পরিমাণ বা উজ্জ্বলতার মান (Brightness Value) অনুসারে বিভিন্ন Band-এ সংখ্যার আকারে জমা করে।

৩. তৃতীয় পর্যায় – ভূপৃষ্ঠে তথ্য প্রেরণ : সংগৃহীত তথ্যগুলি এরপর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত Ground Station-এ পাঠানাে হয়।

৪. চতুর্থ পর্যায় – চিত্রায়ণ : সংগৃহীত তথ্যগুলির মধ্যে যেসব ভুলত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা থাকে সেগুলিকে সংশােধন করা হয়। নতুন Brightness Value বা উজ্জ্বলতা মান নির্ণয়সহ আনুষঙ্গিক কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্যগুলিকে ব্যবহারের উপযােগী করে তা থেকে Image বা চিত্র তৈরি করা হয়। এই পর্যায়টির নাম Transformation। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপগ্রহ চিত্র তৈরি করার সময় পৃথিবীর বিভিন্ন উপাদানগুলির প্রকৃত রঙের পরিবর্তে ছদ্মরঙে প্রকাশ করা হয়। একে False Colour Composite, সংক্ষেপে FCC বলা হয়।

৫. পঞম পর্যায় – GIs পদ্ধতির সাহায্যে মানচিত্রের ব্যবহার : Image তৈরি করা হলে সেটিকে ভিত্তি করে ভৌগােলিক তথ্য ব্যবস্থা বা GIS পদ্ধতির সাহায্যে প্রয়ােজনমতাে উদ্ভিদ মানচিত্র, জলাভূমি মানচিত্র প্রভৃতি নানা ধরনের মানচিত্র তৈরি করা হয়।
3. ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা বা উদ্দেশ্য লেখো।


ূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের ব্যবহার : ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের তিনটি ব্যবহার হল –
1. সামরিক প্রয়ােজন : ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সামরিক প্রয়ােজনে।

2. ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা নদীর গতিপথের পরিবর্তন বােঝার জন্য : কোনাে অঞ্চলের ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা নদীর গতিপথের পরিবর্তন বােঝার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ব্যবহার করা হয়

3. আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করার জন্য : যেহেতু ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে কোনাে অঙ্কুলের ভৌগােলিক, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বােঝা যায় তাই সেই অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ব্যবহৃত হয়।

4. উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য লেখো।

ভূবৈচিত্র্যউপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য : উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি হল –

1. দূর সংবেদন ব্যবস্থা : কৃত্রিম উপগ্রহে সংস্থাপিত সংবেদকের সাহায্যে দূর থেকে বস্তুর সংস্পর্শে না এসে সংগৃহীত তথ্য থেকে উপগ্রহ চিত্র পাওয়া যায়।

2. ভিজিটাল তথ্যসংগ্রহ : প্রত্যেক বস্তুই নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট শক্তি বিকিরণ করে যা কৃত্রিম উপগ্রহের সেন্সর ডিজিটাল আকারে গ্রহণ করে।

3. তথ্য সংরক্ষণ : দূর সংবেদন ব্যবস্থায় পাওয়া তথ্য ডিজিটাল ও গ্রাফিক আকারে সংগৃহীত হয় এবং তথ্যাবলি কম্পিউটারের সাহায্যে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা যায়।

4. ছদ্মরঙের ব্যবহার : উপগ্রহ চিত্রে ছদ্মরং (FCC) ব্যবহার করা হয়। ফলে, ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তুকে সহজেই পৃথকভাবে চিহ্নিত করা যায় এবং চিত্রের গােপনীয়তা বজায় থাকে।

5. চিত্র সংগ্রহের সময় : দিনেরবেলায় সূর্যালােকের ওপর নির্ভর করে বস্তুর তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকে গ্রহণ করে ছবি তােলা যায় এবং রাতের বেলায় র‍্যাডারের সাহায্যে ছবি তােলা যায়। অর্থাৎ, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সরের সাহায্যে তড়িৎ চৌম্বকীয় শক্তির বিন্যাসের মাধ্যমে সবসময় দিন ও রাত্রির উপগ্রহ চিত্র তোলা সম্ভব হয়।

7. ত্রুটিহীন : উপগ্রহ চিত্র সাধারণত ৭০০ – ৩৬,০০০ কিমি উচ্চতা থেকে তােলা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহগুলির উচ্চতা সর্বদা সমান থাকে বলে উপগ্রহ চিত্রের স্কেলে ত্রুটি লক্ষ করা যায় না।

8. আবহাওয়ার পূর্বাভাস : উপগ্রহ থেকে ধারাবাহিকভাবে ছবি পাওয়া যায় বলে ভূপৃষ্ঠের ওপরে মেঘের অবস্থান বা বায়ুমণ্ডলীয় গােলােযােগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব।

7. দূর সংবেদন ব্যবস্থার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।

দূর সংবেদনের সুবিধাগুলি (Advantages of Remote Sensing):

1. এর দ্বারা সংগৃহীত তথ্যগুলি বাস্তবের সাথে সঠিক ও নির্ভুল।
2. এই সংগৃহীত তথ্য স্থায়ী।
3. বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
4. যেসকল দুর্গম অঞ্চলে জরিপ – এর মাধ্যমে সমীক্ষা চালানো সম্ভব হয় না , সেইসকল অঞ্চলের তথ্য সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
5. বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে সহজে তথ্য সংগৃহীত হয়।
6. Remote Sensing- এর দ্বারা প্রাপ্ত একটি চিত্র থেকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারা যায়।

দূর সংবেদন ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি (Disadvantages of Remote Sensing) :

1. উন্নত প্রযুক্তি ছাড়া এই তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।
2. অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে সব দেশ এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না।
3. কোনো ছোটো এলাকার সমীক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করলে Pluginee তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে যায়।
4. এইপ্রকার তথ্য বিশ্লেষণের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের দরকার হয়।
5. আলোর ছোটো ছোটো তথ্য অনেক সময় পাওয়া যায় না।

× close ad