Class 4 Bengali Question & Answer – তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার
তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু পুলিশ সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে ডাউনলোড করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে।
যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে।
আশা করব তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।
২০২৪ এর যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।
চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ।
Class 4 Bengali Question & Answer – তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার
১. ‘তোত্তো-চান’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর :‘তোত্তো-চান’ শব্দের অর্থ খুব ছোটো খুকু বলতে যা বোঝায়।
২. ‘তোত্তো-চান’ বইটির লেখিকার নাম কী?
উত্তর : ‘তোত্তো-চান’ বইটির লেখিকার নাম তেৎসুকো কুরোয়ানাগি।
৩. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উত্তর :লো য়া পা ন – পালোয়ান
ঘ ল র হ – হলঘর
তি রী থা য – যথারীতি
ভি টে শ লি ন – টেলিভিশন
সা ৎ উ হ – উৎসাহ
ক্ষ অ ক নে ণ – অনেকক্ষণ।
৪. বন্ধনীর থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে আবার লেখো :
উত্তর :৪.১. তোত্তো-চান তার বন্ধুকে (খাবার খাওয়া/বাড়িতে যাওয়া/গাছে চড়া/দোলনায় ওঠা)-র নিমন্ত্রণ করেছিল।
৪.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল (রাস্তার মাঝখানে/বাড়ির উঠোনে/বেড়ার ধারে/বাগানের মধ্যে)।
৪.৩. তোত্তো-চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল (রকি/বাবা/দারোয়ান/ ইয়াসুয়াকি-চান)-কে।
৪.৪. তোত্তো-চান মই নিয়ে এসেছিল (বাড়ি/দারোয়ানের ঘর/দোকান/শ্রেণিকক্ষ) থেকে। ৪.৫. ইয়াসুয়াকি-চানের (পোলিয়োর/টাইফয়েডের/নিউমোনিয়া/জন্ডিসের) জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।
৫. কোনটি বেমানান চিহ্নিত করো :
উত্তর :৫.১. গাছ / ডাল / পাতা / রাস্তা
৫.২. হলঘর / কলঘর / উঠোন / চিলেকোঠা
৫.৩. সিঁড়ি / মই / তাঁবু / ধাপ
৫.৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র / জাপান / বাংলাদেশ / পশ্চিমবঙ্গ
৫.৫. সুমো / বক্সিং / ব্যাডমিন্টন / ক্যারাটে
৬. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজাও :
উত্তর :৬.১. গলাট টিকিটটা ঝুলিয়ে তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
উত্তর : ২
৬.২. সেদিন তোত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে ওর গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
উত্তর : ১
৬.৩. সিঁড়ি-মইটা ও টেনে নিয়ে এল গাছের গোড়ায়।
উত্তর : ৩
৬.৪. অবশেষে ইয়াসুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছোল।
উত্তর : ৫
৬.৫. ইয়াসুয়াকি-চানকে বলে উঠল, ‘এবার চলে এসো তুমি।’
উত্তর : ৪
৭. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দটি বেছে শূন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তর :৭.১. তোমোই তে সবার একটা করে গাছ ছিল।
৭.২. তোত্তো-চানের গাছটা ছিল বেড়ার ধারে।
৭.৩. ইয়াসুয়াকি-চানের পোলিয়োর জন্য পায়ে অসুবিধা ছিল।
৭.৪. টেলিভিশন নাকি একটা বাক্সের মতন।
৭.৫. তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো সুমোপালোয়ান।
৮. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
উত্তর :৮.১. তোত্তো-চান কাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল?
উত্তর : তার স্কুলের বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে।
৮.২. গাছে চড়ার নিমন্ত্রণের কথা কারা জানতেন না?
উত্তর : তোত্তো-চানের মা-বাবা জানতেন না।
৮.৩. কোথায় সবার একটা করে গাছ ছিল?
উত্তর : তোমোই-তে অর্থাৎ স্কুল চত্বরে।
৮.৪. স্কুল চত্বরে কারা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল?
উত্তর : স্কুলেরই ছেলেমেয়েরা গাছগুলোর দখল নিয়েছিল।
৮.৫. টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো-চান কী করত?
উত্তর : তার নিজস্ব গাছে চড়ে নীচের মানুষজন আর ওপরের আকাশ দেখত।
৮.৬. ইয়াসুয়াকি-চানের পায়ে কী অসুবিধে ছিল?
উত্তর : পোলিয়োর জন্য তার পায়ে জোর ছিল না।
৮.৭. তোত্তো-চান মাকে কী বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল?
উত্তর : ডেনেনচফুতে ইয়াসুয়াকি-চানের বাড়িতে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল।
৮.৮. স্কুলে গিয়ে তোত্তো-চান কী দেখেছিল?
উত্তর : স্কুলে গিয়ে সে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৮.৯. তোত্তো-চান কোথা থেকে মই সংগ্রহ করেছিল?
উত্তর : স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে।
৮.১০. মইয়ের মাথায় পৌঁছেও ইয়াসুয়াকি-চান গাছের ওপর উঠতে পারছিল না কেন?
উত্তর : কারণ পোলিয়োর জন্য তার পায়ের কোনো জোর ছিল না।
৮.১১. ইয়াসুয়াকি-চানের হাতটা কেমন ছিল?
উত্তর : তোত্তো-চানের চেয়ে তার হাতটা বড়ো ছিল, আঙুলগুলোও ছিল লম্বা অনেকটা।
৯. নীচের বাক্যগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
উত্তর :৯.১. তোত্তো-চান গাছের ওপর উঠে কীভাবে সময় কাটাত?
উত্তর : তোত্তো-চান প্রায়ই টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তার প্রিয় গাছে চড়ে নীচের লোকজন আর ওপরে আকাশটাকে দেখত।
৯.২. ছেলেমেয়েরা গাছগুলোকে কীভাবে আপন করে নিয়েছিল?
উত্তর : ছেলেমেয়েরা মনে করত গাছগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। ফলে কেউ যদি কারও গাছে চড়তে চাইত তাহলে তাকে গিয়ে বিনীতভাবে বলতে হত, ‘আমি কি একটু ভিতরে আসতে পারি?’
৯.৩. বন্ধুকে কীভাবে গাছে ওঠাবে বলে তোত্তো-চান পরিকল্পনা করেছিল?
উত্তর : তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে তার গাছে ওঠাবে বলে নেমন্তন্ন করেছিল। অবশ্য এ কথাটা ওরা আগে থেকে কাউকে বলেনি, কারণ শুনলেই সবাই খুব ঝামেলা করবে।
৯.৪. টেলিভিশনের গল্প শুনে তোত্তো-চান কী ভেবেছিল?
উত্তর : তোত্তো-চান ভাবছিল, একটা ঘরের ভিতরে একটা বাক্স, তার মধ্যে ইয়া বড়ো বড়ো সুমো পালোয়ান এটা কেমন করে হতে পারে? ব্যাপারটা হলে কিন্তু দারুণ হবে।
৯.৫. ‘এই প্রথম তোত্তো-চান বুঝতে পারল…..’—তোত্তো-চান কী বুঝতে পারল? কাজটা কেন সহজ ছিল না, লেখো।
উত্তর : তেত্তো-চান বুঝতে পারল খুব সহজেই ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠানো যাবে না। ইয়াসুয়াকি-চান পোলিয়োর জন্য এমনই পঙ্গু ছিল যে তার হাতে-পায়ে জোের পেত না।
৯.৬. তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল কেন?
উত্তর : পোলিয়োর জন্য ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব কোনো গাছ ছিল না। ইয়াসুয়াকি-চানকে সেজন্যই তোত্তো-চান ওর গাছে চড়ার নেমন্তন্ন করেছিল।
৯.৭. দুই বন্ধু গাছের ওপর বসে টেলিভিশন নিয়ে কী গল্প করেছিল?
উত্তর : ইয়াসুয়াকি-চান বলেছিল তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে জানিয়েছে যে, আমেরিকায় টেলিভিশন নামে একটা জিনিস আছে। সেই জিনিস যখন জাপানে আসবে তখন তারা ঘরে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। টেলিভিশন নাকি একটা বাক্সের মতো। তোত্তো-চান একথা শুনে ভেবেছিল এটা কেমন করে হতে পারে। ব্যাপারটা হলে দারুণ হবে।
৯.৮. তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে যে ধরনের গল্প করো তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর : উত্তরঃ আমি এবং আমার বন্ধু রেডিয়ো, টেলিভিশন নিয়ে মাঝে মাঝে গল্প করি। আমার বন্ধু নির্মল টিভি দেখতে খুব ভালোবাসে। এই প্রসঙ্গে রেডিয়োর কথাও এসে যায়। আমাদের জন্ম হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে রেডিয়োর প্রচলন হয়েছে। রেডিয়ো থেকে কথা শোনা যায়, মানুষ দেখা যায় না। কিন্তু টেলিভিশনে কথাও শোনা যায় এবং মানুষও দেখা যায়। আমরা দুজনে আলোচনা করে খুব অবাক হয়ে যাই যে, যিনি রেডিয়ো আবিষ্কার করেছেন তিনি কত বিশাল মাপের বিজ্ঞানী ছিলেন। আবার, যিনি টেলিভিশন আবিষ্কার করেছেন তিনিও যা আবিষ্কার করেছেন তা অভাবনীয় এবং অকল্পনীয়। কারণ টেলিভিশনের পর্দায় আমরা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলা বা ফুটবল খেলা তখনই বসে দেখতে পাই। মাঠে বসে দেখা আর ঘরে বসে দেখা আজ একই হয়ে গেছে।
৯.৯. বাড়ি বা স্কুলের কোন গাছটা তোমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়? সেই বন্ধুর যত্ন তুমি কীভাবে করো?
উত্তর : আমার ঠাকুরদা আম খেতে খুব ভালোবাসতেন। তাই তিনি নিজের হাতে তিনটি আমগাছ লাগিয়েছিলেন। সেই তিনটি গাছ আমি জন্ম থেকে অনেক বড়ো দেখছি। আমরা যে বাড়িতে থাকি তার পাশাপাশি আর কোনো গাছ লাগানোর জায়গা নেই। ফলে আর গাছ লাগাতে পারেননি দাদু। গাছগুলিতে আম খুব ভালো ফলে। আমার দাদু গত বছর মারা গেছেন। তার আগের বছর প্রতিবারেই আম পাকলে দাদু আমার হাতে আগে একটা তুলে দিতেন। তারপর গাছের তলায় দাঁড়িয়ে তিনিও একটা আম খেতেন। আমরা কোনো ছুরি বা বঁটি হাতে নিতাম না। আমগাছটি আমার ভীষণ প্রিয়। দাদু মারা যাওয়ার পরে প্রতিদিনই আমি সেই আমগাছের নীচে গিয়ে দাঁড়াই। দাঁড়িয়ে দেখি, গাছটার কেউ কোনো ক্ষতি করেছে কিনা। গাছের কাণ্ডে বা শাখায় কোনো পোকা লেগেছে কিনা। তাহলে বাবাকে বলে গাছটিকে কীভাবে পোকা থেকে রক্ষা পাবে তার ব্যবস্থা করব।
Read More :- Class 4 All Subject
৯.১০. গাছে যদি তোমার একটি বাড়ি থাকত, তুমি কীভাবে সেখানে সময় কাটাতে কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : গাছে ঘর বানায় একমাত্র পাখি। পাখি কেমন ছোট্ট বাসা বানিয়ে তার ছানাপোনাদের নিয়ে বাস করে দেখে খুব মজা লাগে। আমি মনে করি, যদি কোনোদিন আমার ক্ষমতা হয় বা সুযোগ পাই তাহলে আমাদের বাড়ির সামান্য দূরে যে বটগাছটা রয়েছে তার দুটি ডালে আমি বাঁশ আর খড়ের ছাউনি দিয়ে ছোট্ট একটি বাসা বানাব। সেখানে বসে রান্নাবান্না করা যাবে না, শৌচকর্ম করা যাবে না। কিন্তু খুব নিরাপদে বসে বই পড়া যাবে এবং পাখিদের সঙ্গে গল্প করা যাবে। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে রাতের চাঁদ ধরার অকল্পনীয় ভাবনা ভেবে আনন্দ পাওয়া যাবে। তাছাড়া ওই গাছের ওপরের ঘর থেকে নীচের অসংখ্য মানুষের কিংবা জনপ্রাণীর গতিবিধি লক্ষ করে আনন্দ পাওয়া যাবে।
১০. প্রতিশব্দ লেখো :
গাছ, মাটি, সূর্য, রাস্তা, আকাশ।
উত্তর :গাছ ➙বৃক্ষ, পাদপ, তরু, বীটপ।
মাটি ➙মৃত্তিকা, ভূমি, ক্ষেত্র, জমি, ভূ, ভূমাতা।
সূর্য ➙অর্ক, অগ্নি, দীনবন্ধু, দিবাকর, দিনমণি।
রাস্তা ➙মার্গ, সরণি, পথ।
আকাশ ➙গগন, অম্বর, অন্তরীক্ষ, মহাশূন্য।
১১. বর্ণবিশ্লেষণ করো :
তরতর, ছোটোখাটো, ভয়ানক, লাজুক, অ্যাডভেঞ্চার।
উত্তর :তরতর ➙ত্ + অ + র্ + অ + ত্ + অ + র।
ছোটোখাটো ➙ছ্ + ও + ট্ + ও + খ্ + আ + ট্ + ও।
ভয়ানক ➙ভ্ + অ + য়্ + আ + ন্ + অ + ক।
লাজুক ➙ ল্ + আ + জ্ + উ + ক।
অ্যাডভেঞ্জার ➙আ + য্ + ড্ + অ + ভ্ + এ + ঞ্ + চ্ + আ + র।
১২. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো।
তোত্তো-চান ঘামে ভেজা চুল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানাল স্বাগতম ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুক ভাবে হেসে বলল আসতে পারি ভেতরে ওতো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম বলে ও হাসল।
উত্তর : তোত্তো-চান ঘামেভেজা চুল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানালঃ ‘স্বাগতম!’ ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে, লাজুকভাবে হেসে বলল, ‘আসতে পারি ভিতরে?’ ও তো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে। ‘গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম!’ বলে ও হাসল।
১৩. নীচের এক-একটি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর :খেলা ➙আমাদের স্কুলের মাঠে রোজ ফুটবল খেলা হয়। ফুটবল খেলা আমার খুব প্রিয়। আমার দাদা ক্রিকেট খেলা ভালোবাসে। আমার দিদি ভালোবাসে লুডো খেলতে। তাস খেলা আমার ভালো লাগে না।
গাছ ➙গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। আমাদের ঘরের সামনে অনেক ছোটো-বড়ো গাছ আছে। আমার বাবা ফুল গাছ খুব ভালোবাসে। আমি একটি গোলাপের চারাগাছ লাগিয়েছি।
নেমন্তন্ন ➙আমার বন্ধু ডলি আমাকে তার জন্মদিনে নেমন্তন্ন করেছিল। কিন্তু আমি তার নেমন্তন্ন রাখতে পারিনি। ভাবছি সামনের বছর আমার জন্মদিনে তাকে নেমন্তন্ন করলে সে এখানে আসবে তো? নেমন্তন্ন বাড়ি গেলে খুব আনন্দ তো হয়। নেমন্তন্ন মানেই খুব খাওয়াদাওয়া।
তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার গল্পটির বিষয়বস্তু আলোচনা :
উত্তর : একদিন সে স্কুলের দারোয়ানের ঘর থেকে ভরদুপুরে একটা মই নিয়ে এলো। তার নিজস্ব যে গাছটা ছিল তার ছ-ফুট উঁচুতে দু-ভাগ হয়ে যাওয়া একটা ডাল ছিল। মইটা সেই দুই ভাগ হয়ে যাওয়া গাছের ডালে ঠিক করে রাখল। তারপর নীচ থেকে ইয়াসুয়াকি-চানকে ঠেলে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠিয়ে দিতে চেষ্টা করল। কিন্তু ইয়াসুয়াকি-চানের হাতে একটুও জোর ছিল না। তাই সে সিঁড়ির একটা ধাপও উঠতে পারল না। অসম্ভব জেদি মেয়ে তোত্তো-চান। সে এবার নিজে গাছের ছ-ফুট মাথায় দু-দিকে ভাগ হয়ে যাওয়া ডালের মাঝখানে উঠে পড়ল। তারপর দু-হাত বাড়িয়ে অসম্ভব চেষ্টায় ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছের ডালে তুলে নিল। এই প্রথম প্রাণভরে যেন নীচের পৃথিবীটাকে দেখল ইয়াসুয়াকি-চান। ভীষণ খুশি হয়ে সে তোত্তো-চানকে বলল, তার দিদি আমেরিকায় থাকে। সে বলেছে আমেরিকায় টেলিভিশন নামে বাক্সের মতো একটা জিনিস আছে। সেই বাক্সের মতো জিনিসটা যেদিন জাপানে চালু হবে তখন তারা বাড়িতে বসে সুমো পালোয়ানদের দেখতে পাবে। তখনকার দিনে জাপানে তখনও কেউ টেলিভিশন বলে কিছু জানত না। তোত্তো-চান সেই প্রথম ইয়াসুয়াকি-চানের মুখ থেকে যন্ত্রটার পরিচয় জানতে পারল।