Class 4 Bengali Question & Answer – আমার মা-র বাপের বাড়ি রাণী চন্দ
২০২৪ এর যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই বাংলার সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে। আমার মা-র বাপের বাড়ি
চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ। আমার মা-র বাপের বাড়ি
Class 4 Bengali Question & Answer – আমার মা-র বাপের বাড়ি
১. রাণী চন্দের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর :রাণী চন্দের লেখা দুটি বই—ঘরোয়া এবং জোড়াসাঁকোর ধরে।
২. তিনি কী কী সাম্মানিক উপাধি পেয়েছিলেন?
উত্তর : তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন।
৩. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে উপযুক্ত স্থানে বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তর :
৩.১ লাল লাল মোটা মোটা চাল দেখতে দেখতে টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে।
৩.২ ঢালু জমিতে থই থই জল।
৩.৩ নন্দীদের বাঁধানো ঘাট থেকে ধুধু বিল দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত।
৩.৪ নৌকোও এগিয়ে চলে তরতর করে।
৫. নীচের বাক্যগুলিতে কোন বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৫.১ মা জলের দেশের মেয়ে।
উত্তর :একবচন
৫.২ তিন মাঝি স্বর মিলিয়ে ‘বদর বদর হৈ’ বলে নৌকার পাল তুলে দেয়।
উত্তর :বহুবচন
৫.৩ গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা এসে ভিড় করে ঘাটে।
উত্তর :বহুবচন
৫.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যায়।
উত্তর :বহুবচন
৫.৫ বাবনচাচার বড়ো ছেলে আলি হোসেন খাঁ।
উত্তর :একবচন
৫.৬ সন্ধেবেলার শাঁখ বেজে ওঠে ঘরে ঘরে।
উত্তর :বহুবচন
৫.৭ গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে আমাদের ঘিরে।
উত্তর : বহুবচন
৫.৮ শুশুক ওঠে ক্ষণে ক্ষণে জলের উপর।
উত্তর :বহুবচন
৫.৯ ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী।
উত্তর :একবচন
৫.১০ মাঝিরা নাকি নুন বেশি খায়। আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর :বহুবচন
৬. ‘আমার মা’ বা ‘বাপের বাড়ি’ শব্দবন্ধদুটি দুটি করে শব্দ ‘আমি’ ও ‘মা’ এবং ‘বাপ’ ও ‘বাড়ি’-র যোগে খেয়াল করে দেখো প্রতিক্ষেত্রেই শব্দদুটি যুক্ত হয়েছে ‘র’ বা ‘এর’ ব্যবহার করে। অর্থাৎ (আমি+র=আমার) (বাপ+এর=বাপের) এইভাবে ‘র’ বা ‘-এর’ যোগ করে দুটি আলাদা শব্দের মধ্যে সম্বন্ধ তৈরি করা যায় বলে। পদগুলিকে বলা হয় ‘সম্বন্ধ পদ’।‘‘র’ বা ‘-এর’ যোগ করে সম্বন্ধ পদ তৈরি হয়েছে এমন কয়েকটি উদাহরণ পাঠা থেকে খুঁজে বের করো। তোমাদের সুবিধের জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া থাকল। উদাহরণ : জলের দেশ।
উত্তর : সূর্যের তাপে, নদীর পাড়, ইছামতীর বুকে, খালের ধারে, দাদার বাড়ি, দাদামশায়ের বন্ধু, জলের দোলা, সাম দিকে, কোলের কাছেই, আতঙ্কের ব্যাপার, বালিশের ভিতর, ঢেউয়ের ধাক্কা, নলখাগড়ার বন, জলের ধারে, য মালসাতে, নদীর জলে, মাটির হাঁড়ি, মাটির কড়াইতে, মাছের ঝোল, পাটাতনের নীচে, মাথার উপরে, জলের ট ছইয়ের বাইরে, দিদিমার কাছে, বাড়ির ঘাট, গরমের ছুটি, সন্ধেবেলার শাঁখ।
৭. ‘আমার মা’-র বাপের’—শব্দ বন্ধনীটিতে তিনবার, ‘জলের দেশের মেয়ে’ শব্দবন্ধনীতে দুবার-‘র’ বা ব্যবহার করে একটি মাত্র সম্বন্ধ পদ গড়ে তোলা হয়েছে। তোমরা এইরকম আরও পাঁচটি সম্বন্ধ পদ লেখো যে অন্তত দুবার ‘‘র’ বা ‘-এর’ ব্যবহার হয়েছে। এরপর নতুন তৈরি শব্দগুলি একটি স্বাধীন বাক্যে ব্যবহার করো।
উদাহরণ : গোপালের মাসির হাতের রান্না খেলে আর ভোলা যায় না।
উত্তর :১। মামার বড়ো ছেলে বিদেশে পড়াশুনা করে।
২। বাঘের বাচ্চার মতো লোকটি লড়ে গেল। আমার মা-র বাপের বাড়ি
৩। মরুর দেশের ছেলে গরমকে ভয় পায় না।
৪। পূজার ছুটির পর বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।
৫। হারার মায়ের মুখের জোরে কেউ তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না।
৮. নির্দেশ অনুযায়ী পুরুষ পরিবর্তন করো :
৮.১ মাটির কড়াইতে মাছের ঝোল রাঁধে। (উত্তম পুরুষ) আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর :মাটির কড়াইতে মাছের ঝোল রাঁধি।
৮.২ ভেবে পাই না মাঝিরা নৌকা নিয়ে চলেছে কোন্ দিকে। (প্রথম পুরুষ)
উত্তর :মাঝিরা নৌকা নিয়ে কোন্দিকে চলেছে তা ভাবা অসম্ভব।
৮.৩ বসে বসে দেখি। (মধ্যম পুরুষ)
উত্তর : বসে বসে দেখো।
৮.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যায়। (উত্তম পুরুষ)
উত্তর : যে যার বাড়ি ফিরে গেলাম।
৮.৫ পোলাপান লইয়্যা খাইও তুমি বাড়ি গিয়া। (উত্তম পুরুষ)
উত্তর : পোলাপান লইয়্যা বাড়িতে গিয়া খাইমু।
৮.৬ পুণি বইনদি যাও? (প্রথম পুরুষ) আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : পুণি বইনদি যায়?
৮.৭ এখন আর মাথা ঘোরার কথা মনে নেই তাঁর। (মধ্যম পুরুষ)
উত্তর : এখন আর মাথা ঘোরার কথা তোমার মনে নেই।
৮.৮ অতি শান্ত তোমার চলার গতি। (মধ্যম পুরুষ)
উত্তর : তুমি অতি শান্ত গতিতে চলো।
৮.৯ দুই পা একটু হাঁটি। (প্রথম পুরুষ)
উত্তর : দুই পা একটু হাঁটে।
৮.১০ ‘বদর বদর হৈ’ বলে নৌকোয় পাল তুলে দেয়। (উত্তম পুরুষ)
উত্তর : (আমরা) বদর বদর হৈ’ বলে নৌকায় পাল তুলে দিলাম।
৯. নীচের শব্দগুলির বিপরীত লিঙ্গের শব্দ পাঠ্যাংশটি থেকে খুঁজে বের করো : আমার মা-র বাপের বাড়ি
দাদি, মামি, ছোটোবোন, দিদিমা, বড়োছেলে, দিদি, বালিকা, বর, বৃদ্ধা, বান্ধবী, লক্ষ্মীছেলে, চাচি।
উত্তর :দাদি — নানা।
বালিকা — বালক।
মামি — মামা।
ছোটোবোন — ছোটোভাই।
দিদিমা — দাদামশাই।
বড়োছেলে — বড়োমেয়ে।
বান্ধবী — বান্ধব।
বর – বউ।
বৃদ্ধ – বৃদ্ধা।
লক্ষ্মী ছেলে – লক্ষ্মী মেয়ে।
দিদি — দাদা।
চাচি — চাচা।
১০. নীচের বাক্যগুলির কর্ম খুঁজে বের করো :
আড়ও পড়ুন :- ক্লাস ৪ প্রশ্ন ও উত্তর
উত্তর :১০.১ মাঝিরা একে একে মাটির থালায় ভাত বেড়ে খেয়ে নেয়।
১০.২ হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা এনে নৌকাতে তুলে দেন।
১০.৩ এক মাঝি মাটির উনুনে কাঠ জ্বালে।
১০.৪ মাঝিরা নিশ্চিন্ত মনেও নৌকা ভাসায়।
১০.৫ মা জলের দোলা সইতে পারে না।
১১. রচনাংশ থেকে ঠিক ক্রিয়াপদ বেছে নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করো :
উত্তর :১১.১ মাঝিরা জলের গতির ওপরে নজর রাখে। আমার মা-র বাপের বাড়ি
১১.২ ধলেশ্বরী নদী খ্যাপা।
১১.৩ হই-চই উচ্ছ্বাস আনন্দে বাকি বেলাটুকু কেটে যায়।
১১.৪ মুখে মুখে বার্তা চলতে থাকে।
১১.৫ মা আর দিদি নৌকোর ভিতরে শুয়ে পড়েন।
১১.৬ ‘রাম’ নাম জপো।
১১.৭ বেশির ভাগ সময়ে ইলিশ মাছই থাকে।
১১.৮ মা ‘বাবনচাচা’ ডাকতেন।
১১.৯ কার বাড়ির ‘নাইওরি’ আসছে রে মাঝি?
১১.১০ তখনও বর্ষার সব জল সরে যায়নি।
১২. অনধিক দু-তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : আমার মা-র বাপের বাড়ি
১২.১ পাঠ্যাংশে কাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে?
উত্তর :পাঠ্যাংশে লেখিকার মাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
১২.২ ‘ছই’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : নৌকার ছাউনিকে ছই বলে।
১২.৩ কাদের সঙ্গে ছই-এর বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়?
উত্তর : দাদাদের ও মামার সঙ্গে লেখিকাকে ছই-এর বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়।
১২.৪ কাদের ‘বদর বদর হৈ’ বলে চিৎকার করতে দেখা যায়?
উত্তর : মাঝিদের ‘বদর বদর হৈ’ বলে চিৎকার করতে দেখা যায়।
১২.৫ কোন্ ‘নদীকে ‘খ্যাপা’ নদী’ বলা হয়েছে? আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : ধলেশ্বরী নদীকে ‘খ্যাপা নদী’ বলা হয়েছে।
১২.৬ বালির চরের প্রসঙ্গ পাঠ্যাংশে কীভাবে এসেছে?
উত্তর : ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে লেখিকাদের নৌকা শান্তধারায় আসার পর লেখিকার মা উঠে বসে মাঝিদের পাড়ে নৌকা লাগাতে বলেন। নৌকা পাড়ে লাগার পর লেখিকা ও তার ভাইবোনেরা নদী পাড়ের বালির চরে নেমে ছুটোছুটি করেন। এভাবেই পাঠ্যাংশে বালির চরের প্রসঙ্গ এসেছে।
১২.৭ নৌকোয় কী কী রান্না হয়েছিল?
উত্তর : নৌকায় ভাত ও মাছের ঝোল রান্না হয়েছিল।
১২.৮ নদীতে যেতে যেতে কোন্ কোন্ প্রাণীর দেখা মিলেছে?
উত্তর : নদীতে যেতে যেতে শুশুক ও গাঙচিলের দেখা মিলেছে।
১২.৯ ‘গুণ টানা’ বলতে কী বোঝো? আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : দড়ি দিয়ে বেঁধে নৌকা টানাকে গুণ টানা বলে।
১২.১০ মাঝিরা কখন হাতে লগি তুলে নেয়?
উত্তর : ইছামতী নদীতে চলার পথে বাঁদিকের পাড়ে বটগাছের ছড়ানো শিকড় ধুয়ে যে খাল ইছামতীতে এসে পড়েছে সেই খালের মুখে নৌকা ঢোকার পর মাঝিরা হাতে লগি তুলে নেয়।
১২.১১ ‘নাইওরি’ কথাটির অর্থ কী? আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : ‘নাইওরি’ কথাটির অর্থ হল পূর্ববঙ্গের কোনো বন্ধুর নদীপথে বাপের বাড়ি যাত্রা।
১২.১২ হোসেনমামা কী কী উপহার এনেছিলেন?
উত্তর : হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা ও দুটো কাঁঠাল উপহার এনেছিলেন।
১২.১৩ খালের বাঁকে বাঁকে কাদের কাদের বাড়ি চোখে পড়ে?
উত্তর : খালের বাঁকে বাঁকে জোলা, ভুইমালী, শেখমামাদের বাড়ি চোখে পড়ে।
১২.১৪ গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটিতে মামাবাড়িতে আসার পথ বদলে যায় কেন?
উত্তর : গরমের ছুটিতে খাল, নদীতে জল কম থাকে আর পুজোর ছুটির সময় আগে হওয়া বর্ষার সব জল তখনও সরে যায় না। ঢালু জমিতে জল থইথই করে। তাই লেখিকার গরমের ছুটি ও পুজোর ছুটিতে মামাবাড়িতে আসার পথ বদলে যায়।
১৩.১ লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার কী? সেখানে যাওয়ার যাত্রাপথটি বর্ণনা করো। আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর :উঃ। লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার মামার বাড়ি।
ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়ে যাত্রা শুরু করে লেখিকাদের নৌকা আসে শান্তধারায়। সেখানে পাড়ে নলখাগড়ার বন, বালির চর। এরপর নৌকা এসে পড়ে ইছামতী নদীতে। এই নদীতে এলে তীরের দিকে নৌকা সরিয়ে এনে, কম জল দেখে দুজন মাঝি তীরে উঠে দড়ি দিয়ে নৌকার গুণ টানে। এরপর চলতে চলতে বাঁদিকের উঁচু পাড়ে যে খাল ইছামতীর বুকে এসে পড়েছে সেই খালের জলে লগি ঠেলে নৌকা এগিয়ে চলে। খালের ধারে বাবন খাঁ দাদার বাড়ি এবং খালের বাঁকে বাঁকে জোলা, ভুঁইমালী ও শেখমামাদের বাড়ি দেখা যায়। টান’ এর দিনে বাড়ির ঘাট অবধি নৌকা আসে না। ভাঙা পথে লেখিকার দিদিমারা মুরলী ঘোষের বাঁশঝাড় অবধি এগিয়ে আসেন। এই পথে লেখিকারা গরমের ছুটিতে গ্রামে আসেন। আর পুজোর ছুটিতে তাঁরা বিলের উপর দিয়ে আসেন। কারণ সেসময় বর্ষার সব জল সরে যায় না। ঢালু জমিতে জল থইথই করে। নৌকা একেবারে বাড়ির ঘাটে এসে লাগে।
১৩.২ পাঠটির অনুসরণে ‘ধলেশ্বরী’ নদীর পরিচয় দাও। আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : ধলেশ্বরী বিরাট নদী, ঘোলা জল, এ-কূল ও-কূল দু-কূল জলে ভরা। ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী। তালে বেতালে চলে এলোপাথাড়ি ঢেউয়ের ধাক্কা কখনও এদিক হতে এসে লাগে, কখনও ওদিক হতে। চলার তাল ঠিক রাখতে জানে ধলেশ্বরী। এই ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দেওয়া এক বিষম আতঙ্কের ব্যাপার।
১৩.৩ নৌকোয় রান্নাবান্না ও খাওয়া-দাওয়ার বিশদ বিবরণ দাও।
উত্তর : নৌকাতে এক মাঝি নৌকার পিছন দিকের পাটাতন তুলে নীচে রাখা মাটির উনুনে কাঠ জ্বালে। একটা মাটির মালসাতে করে তারা নদীর জলে চাল ধোয়। পরে মাটির হাঁড়িতে চাল ও জল ভরে তারা জ্বলন্ত উনুনে বসিয়ে দেয় লাল মোটা চাল হাঁড়িতে টগবগ করে ফুটতে থাকে। ভাত হয়ে গেলে মাটির কড়াইতে মাছের ঝোল রাঁধা হয়। বেশিরভা সময় ইলিশ মাছই থাকে। নুন মাখানো মাছে একটু হলুদ বাটা আর কাঁচালঙ্কা ছেড়ে রান্না করা ঝোলের সুগন্ধ চারদিে ভুর ভুর করে। এরপর মাঝিরা একে একে মাটির থালায় ভাত বেড়ে খেয়ে নেয়। হাত বাড়িয়ে নদীর জলে থালা, বাি হাঁড়ি, কড়াই সব ধুয়ে আবার তারা সেগুলি পাটাতনের নীচে তুলে রাখে।
১৩.৪ পাঠ্যাংশ অনুসরণে ‘ইছামতী’ নদী সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো। আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : ইছামতী নদী যেন লক্ষ্মী মেয়েটি। অতি শান্ত তার চলার গতি। ইছামতী নদীর তীরের দিকে কম জল। ইছামত নদীর বাঁদিকে উঁচু পাড়। বাঁদিকের পাড় থেকে বটগাছের ছড়ানো শিকড় ধুয়ে একটি খাল এসে পড়েছে ইছামতীর বুকে। আমার মা-র বাপের বাড়ি
১৩.৫ লেখিকার দাদামশায়ের পরিবারের সঙ্গে বাবন খাঁ-দের পরিবারের সম্পর্ক কেমন ছিল? বিভিন্ন ঘটনা এ উল্লেখ করে তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর : লেখিকার দাদামশায়ের পরিবারের সঙ্গে বাবন খাঁ-দের পরিবারের সম্পর্ক খুবই মধুর ছিল। লেখিকার দাদামশাইে । ছিলেন বাবন খাঁ। তিনি লেখিকার দাদামশাই কে বড়ো ভাইয়ের মতো দেখতেন। মা তাকে বাবনচাচা বলে ডাকতে খালের জলে নৌকা আসতে দেখে বাবনচাচার বড়ো ছেলে আলি হোসেন খাঁ যাকে লেখিকা হোসেনমামা বলেন, তিনি এগিয়ে এসে মাঝিকে প্রশ্ন করেন যে, সে কার বাড়ির বধূকে বাসের বাড়ি নিয়ে চলেছে। লেখিকার মা ছই থেকে মুখ বের করে জবাব দেন ‘আমি গো হোসেন ভাই’। হোসেনমামা একমুখ হেসে বলেন ‘পুণি বইনদি যাও?’ এরপর হোসেনমামা ছুটে গিয়ে বাড়িতে ঢুকে এক কাঁদি পাকা কলা ও গাছ থেকে পাড়িয়ে দুটি কাঁঠাল নৌকায় তুলে দিয়ে লেখিকার মাকে বলেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে সেগুলি বাড়িতে গিয়ে খাবার জন্য। এ থেকেই বোঝা যায় এই দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অনেক আন্তরিক ও পারিবারিক সম্পর্কের মতো। সেই জন্যই আমরা দেখি বাবন খাঁকে লেখিকার মা চাচা অর্থাৎ কাকা সম্বোধন করতেন এবং তার ছেলে আলি হোসেন কে সেই সূত্রে ভাই সম্বোধন করেন।
১৩.৬ লেখিকার মাকে কেন জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে? আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : লেখিকার মায়ের বাপের বাড়ি যেতে গেলে জলপথে যেতে হয়। এই পথে যেতে গেলে ধলেশ্বরী ও ইছামতী নদী পেরিয়ে যেতে হয়। তাছাড়াও খাল ও বিল সেখানে প্রচুর রয়েছে। তাই লেখিকার মাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
১৩.৭ পাঠ্যাংশে বাংলার পল্লিজীবনের বিভিন্ন ধরনের মানুষের মিলেমিশে একসঙ্গে থাকার যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নানা ঘটনা উল্লেখ করে লেখো। আমার মা-র বাপের বাড়ি
উত্তর : লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি আসার পথে ইছামতী নদীর যে খাল পড়ে সেই খালের বাঁকে বাঁকে জোলা, ভুঁইমালী, শেখমামাদের বাড়ি। নৌকা খালে ঢুকতে দেখে তারা কে এসেছে দেখতে এগিয়ে আসে, বলে বোসের বাড়ির পুণি বইনদি এল। নৌকা এগিয়ে আসছে দেখে পাড়ার লোক ছুটতে ছুটতে এসে জমা হয় ঘাটে। বাড়ির ঘাটে নৌকা লাগার সঙ্গে সঙ্গে গোটা গ্রাম লেখিকাদের ঘিরে ভেঙে পড়ে। ঘর পর সকলেরই সমান উল্লাস, যেন সবার ঘরে আজ কুটুম এসেছে। গ্রামের মেয়ে বউ আসছে গ্রামে, এ আনন্দ যেন সকলের। এই চিত্রগুলিই বুঝিয়ে দেয় বাংলার পল্লিজীবনে বিভিন্ন ধরনের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন।
১৩.৮ তোমার নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। যারা নৌকা চড়োনি তারা একটি কাল্পনিক নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লেখো।
উত্তর : আমি একবার বর্ষার দিনেই সুন্দরবন অঞ্চলের দিকে এক কাকুর বাড়ি গিয়েছিলাম। তাঁর বাড়ি বাসন্তী এলাকায়। তাঁর বাড়ি থেকে জলপথে আধঘণ্টা সময় ধরে আমি নৌকায় করে ক্যানিং অঞ্চলে গিয়েছিলাম। জলপথটি ছিল একটি খাঁড়ি। শুনেছিলাম খাঁড়িটি নাকি গিয়ে মিলেছে মাতলা নদীতে। খাঁড়িটির দুপাশে ঝোপজঙ্গল। আর আমাদের নৌকা দুলতে দুলতে চলেছে। আমি জলপথকে একটু ভয় পাই, আমার তো মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল, মনে হল যেন বমি হবে। এই সবকে ছাপিয়ে হঠাৎ এলো বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। আমি ভয়ে কেঁদেই ফেললাম। দুজন মাঝি ছিল বড়োই ভালো তারা আমাকে সাহস দিয়ে বলল কোনো ভয় নেই আমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাব। সত্যই তাই হল। নৌকা থেকে নেমে আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার মা-র বাপের বাড়ি