Class 4 Bengali Question & Answer – নরহরি দাস
নরহরি দাস যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু পুলিশ সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে ডাউনলোড করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে।
যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে নরহরি দাস অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে।
আশা করব নরহরি দাস সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।
২০২৪ এর যারা পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ এর পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।
চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ।
Class 4 Bengali Question & Answer – Narohori Das নরহরি দাস
1. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর :উত্তরঃ তাঁর লেখা আমার প্রিয় বই হল ‘টুনটুনির বই’।
২. তাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি কোন সিনেমা তুমি দেখেছ?
উত্তর : ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. হ্যাঁগা, তুমি কী খাও?’ – ছাগলছানা ষাঁড়কে কী ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর : ছাগলছানা ষাঁড়কে ভেবেছিল ওটাও একটা ছাগল।
৩.২. গল্পে বাঘ হল শিয়ালের মামা, আর ‘নরহরি দাস’ নিজেকে কার মামা দাবি করল?
উত্তর : ‘নরহরি দাস’ নিজেকে সিংহের মামা বলে দাবি করল।
৩.৩. ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে কেন বনে গিয়েছিল?
উত্তর : ঢের ভালো ঘাস খাবে বলে।
৩.৪. ছাগলছানা সেদিন রাতে কেন বাড়ি ফিরতে পারেনি?
উত্তর : খুব ঘাস খেয়ে পেট ভারী করে ফেলেছিল বলে।
৩.৫. অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে কী মনে করেছিল?
উত্তর : রাক্ষস-টাক্ষস মনে করেছিল।
৩.৬. বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : বাঘমামার কাছে শিয়াল এইমাত্র নেমন্তন্ন খেয়ে গিয়ে আবার ফিরে এসেছিল বলে।
৩.৭. শিয়াল কোন শর্তে বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল?
উত্তর : শিয়ালকে ফেলে বাঘ পালাবে না এই শর্তে।
৩.৮. ছাগলের বুদ্ধির কাছে বাঘ কীভাবে হার মানল?
উত্তর : ছাগলছানা অন্ধকারে লুকিয়ে শিয়ালকে ধমক দিয়ে বলেছিল, “তোকে দশটা বাঘের দাম দিলাম, অথচ আমার খাবার জন্য একটা বাঘ বেঁধে আনলি কেন?” এই কথা শুনে বাঘ প্রাণভয়ে পালিয়েছিল। এভাবে ছাগলের বুদ্ধির কাছে বাঘ হার মানল।
৪. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উত্তর :য়ানভক – ভয়ানক
শর্বসনা – সর্বনাশ
তরারাসা – সারারাত
রন্ধঅকা – অন্ধকার
মণনিন্ত্র – নিমন্ত্রণ
নাগলছাছা – ছাগলছানা।
৫.নিজের ভাষায় বাক্য সম্পূর্ণ করো :
উত্তর :৫.১ যেখানে মাঠের পাশে বন আছে সেই বনের ধারে মস্ত পাহাড়ের গর্ভের ভিতরে থাকত একটা ছাগলছানা।
৫.২. সেই বনের ভিতরে অনেক সবুজ ঘাস ছিল।
৫.৩. ছাগলছানাটা ছিল ভীষণ বুদ্ধিমান।
৫.৪. বাঘ শিয়ালকে বেশ করে নিজের লেজের সঙ্গে বেঁধে নিল।
৫.৫. বাঘ ভাবে তার পিছনে বুঝি নরহরি দাস ছুটে আসছে, তাই সে আরও বেশি করে ছুটতে লাগল।
৬. একই অর্থের শব্দ পাশের শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে নিয়ে পাশাপাশি লেখো :
বন, ছাগল, আশ্চর্য, সাজা, তৃণ।
শব্দঝুড়ি — অবাক, ঘাস, অজ, শাস্তি, জঙ্গল।
উত্তর :বন➙ জঙ্গল।
ছাগল ➙ অজ।
আশ্চর্য ➙ অবাক।
সাজা ➙ শাস্তি।
তৃণ ➙ ঘাস।
7. বর্ণ বিশ্লেষণ করে নিচের ফাঁকা ঘর গুলি ভর্তি করো :
উত্তর :পাহাড়= প+আ+হ+আ+ড় ।
মস্ত= ম+অ+স্+ত+অ।
সন্ধ্যে= স+অ+ন+ধ+য+এ।
অন্ধকার= অ+ন+ধ+অ+ক+আ+র।
পঞ্চাশ= প+অ+ন+চ+আ+শ।
ব্যস্ত= ব+য+অ+স+ত+অ।
নিশ্বাস= ন+ই+শ+ব+আ+স।
Read More Class 4 Suggestion
আমাজনের জঙ্গলে | Click Here |
দুচাকার দুনিয়া | Click Here |
বিচিত্র সাধ | Click Here |
বনের খবর | Click Here |
মালগাড়ি | Click Here |
ছেলেবেলার দিনগুলি | Click Here |
বনভোজন | Click Here |
তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার | Click Here |
৯. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো :
৯.১ গর্তের থাকত একটা ভিতরে ছাগলছানা।
উত্তর : গর্তের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকত।
৯.২ কড়ি বাঘের দশ দিলুম তোকে।
উত্তর : তোকে দশ বাঘের কড়ি দিলুম।
৯.৩ কিছুতেই আর গেল রাগ সে না।
উত্তর : সে রাগ আর কিছুতেই গেল না।
৯.৪ লাফেই দুই তুমি তাহলে পালাবে তো।
উত্তর : তাহলে তুমি তো দুই লাফেই পালাবে।
৯.৫ সারারাত সারা করে ছুটোছুটি এমনি করে হল।
উত্তর : এমনি করে সারারাত ছুটোছুটি করে সারা হল।
10. মস্ত, জন্তু, চমৎকার, বুদ্ধিমান, নিমন্ত্রণ।
উত্তর :মস্ত➙ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় আমি মস্ত এক ষাঁড় দেখেছি।
জন্তু➙ গন্ডার এক ভয়ংকর জন্তু।
চমৎকার➙ আমার বাবা চমৎকার ছবি আঁকতে পারে।
বুদ্ধিমান➙ হাতি খুব বুদ্ধিমান প্রাণী।
নিমন্ত্রণ➙ বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ খেয়ে লাল্টু হাঁটতে পারছিল না।
১১. এলোমেলো ঘটনাগুলিকে সাজিয়ে লেখো :
উত্তর :ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে বনে যেতে চাইল।
●একথা শুনে ষাঁড় তাকে নিয়ে বনে গেল।
●খেয়ে তার পেট এমন ভারী হল যে, সে আর চলতে পারে না।
●সেদিন রাতে একটা গর্ভের ভিতরে একটা ছাগলছানা থাকল।
●সেই গর্তটা ছিল এক শিয়ালের।
●শিয়াল ফিরে এসে গর্তের ভিতরে কে ঢুকেছে তা জানতে চাইল।
●ছাগলছানাটা ভারি বুদ্ধিমান ছিল, সে বললে, ‘পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস!’
●শিয়াল গেল বাঘের কাছে নালিশ জানাতে।
●শিয়াল বাঘের সঙ্গেও সেই গর্তের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল।
●বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।
●ছাগলছানা বলল—দূর হতভাগা! তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি,
●এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি!’
●সে শুনে বাঘ পঁচিশ হাত লম্বা এক-এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল।
●সকালে ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এলো।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
১২.১ এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : এই গল্পে ছাগলছানাকে আমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। এই গল্পে ষাঁড়, শেয়াল আর বাঘের কাছে একটি ছাগলছানা খুবই তুচ্ছ প্রাণী। কিন্তু ওই ছাগলছানার প্রবল বুদ্ধি ছিল বলে বনে শেয়ালের গর্তে রাত কাটিয়েছে। আবার তার ওপর আক্রমণের উদ্দেশ্যে আসা শেয়াল ও বাঘ একসঙ্গে যেভাবে প্রাণভয়ে ছুটে পালিয়েছে তা শুধুমাত্র ছাগলছানারুদ্ধির জোরেই।
১২.২ ‘বুদ্ধি যার বল তার’—এই কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এই গল্পে। এরকম অন্য কোনো গল্প তোমার জানা থাকলে লেখো।
উত্তর :হ্যাঁ, এরকম গল্প আমার আরও একটি জানা আছে। গল্পটি এইরকম -বুদ্ধি যার বল তার
গ্রীষ্মের দুপুর সেদিন দারুণ গরম পড়েছিল। রোদের দাপটে পুকুর-ডোবা শুকনো হয়ে গিয়েছিল। মাঠের জমি ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছিল। অনেক গাছের পাতা ঝরে পড়েছিল। সেই সময় একটা কাকের খুব তেষ্টা পেয়েছিল। সে ক্লান্ত হয়ে জলের আশায় কোনোরকমে উড়তে উড়তে এদিক ওদিক ঘুরছিল। অনেক ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে কাক একটি কুজো পড়ে থাকতে দেখল। কাকটা সেই কুজোর মাথায় বসে দেখল কুজোর তলায় সামান্য জল আছে। কিন্তু মুখ বাড়িয়ে খাওয়া যাবে না। কাক ভাবতে লাগল কীভাবে ওই জল পান করা যাবে। সে এদিক ওদিক দেখতে লাগল। হঠাৎ তার নজরে পড়ল সামান্য দূরে কিছু নুড়ি পাথর পড়ে আছে। সে তখন ঠোঁটে করে নুড়িগুলো এক-এক করে কুড়িয়ে এনে কুজোতে ফেলতে লাগল। এক সময় কুজোর জল ওপরে উঠে এলো। খুব সহজে কাক এবার মনের সুখে প্রাণভরে জল পান করল। তারপর সেখান থেকে উড়ে চলে গেল।
১৩. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি সর্বনাম খুঁজে নিয়ে লেখো এবং সেগুলি ব্যবহার করে একটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর :গল্প থেকে পাওয়া পাঁচটি সর্বনাম হল — আমি, তোমাকে, সে, তার, তুমি। সর্বনামগুলি থেকে তৈরি বাক্য নিম্নে লিখিত হল।
আমি ➙ বেলা দশটায় আমি রোজ স্কুলে যাই।
তোমাকে ➙ রোজ রোজ তোমাকে একটা কথা শেখাতে পারব না।
সে ➙ তিনদিন আগেই সে এখানে এসেছিল।
তার ➙ কেউ তার খবর জানে না।
তুমি ➙ কষ্ট করে তুমি একটিবার এসো।
১৪. কারণ কী লেখো :
১৪.১. ছাগলছানা গর্তের বাইরে যেতে পেত না।
উত্তর :কারণ সে তখনও বড়ো হয়নি।
১৪.২. ষাঁড় এসে বলল, ‘এখন চলো বাড়ি যাই।
উত্তর : কারণ তখন সন্ধে হয়ে গেছে।
১৪.৩. সে (শিয়াল) ভাবল বুঝি রাক্ষস-টাক্ষস হবে।
উত্তর : কারণ ছাগলছানা কালো ছিল বলে।
১৪.৪. ‘বাবা গো’! বলে সেখান থেকে (শিয়ালের) দে ছুট!
উত্তর : কারণ গর্তের ভিতর থেকে ছাগলছানাটা বলেছিল, সে এক-এক গ্রাসে পঞ্চাশটা বাঘ খেতে পারে।
১৪.৫. বাঘ ভয়ানক রেগে বললে, ‘বটে, তার এত বড়ো আস্পর্ধা!’
উত্তর : কারণ সে তার শেয়াল-ভাগ্নের মুখে শুনেছিল নরহরি দাস অর্থাৎ সেই ছাগলছানাটা নাকি এক-এক গ্রাসে পঞ্চাশটা বাঘ খেয়ে ফেলে।
১৫. নীচের বাক্যগুলিতে কোন কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা লেখো :
(বিস্ময়/ইচ্ছা/প্রশ্ন/বিবেক/উপদেশ/পরামর্শ বা নির্দেশ/ভয়)
১৫.১. হ্যাঁগা, তুমি কী খাও?
উত্তর :প্রশ্ন।
১৫.২. আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
উত্তর : পরামর্শ বা নির্দেশ।
১৫.৩. যাসনে ! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!
উত্তর : উপদেশ।
১৫.৪. এখন চলো বাড়ি যাই।
উত্তর : ইচ্ছা।
১৫.৫. শুনেই তো শিয়াল, ‘বাবা গো!’ বলে সেখান থেকে দে ছুট।
উত্তর : ভয়।
১৫.৬. ‘কী ভাগনে, এই গেলে, আবার এখুনি এত ব্যস্ত হয়ে ফিরলে যে?
উত্তর : প্রশ্ন।
১৬. গল্পটিতে কে কোন্ সময়ে কী করছিল তা লেখো :
উত্তর :
● ছাগলছানা- গর্তের বাইরে চলে এল।
● ছাগলছানার মা- বাইরে চলে গিয়েছিল।
● ষাঁড় – ঘাস খাচ্ছিল।
● শিয়াল- বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল।
● বাঘ- শিয়ালকে তখুনি ফিরে আসতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।
১৭. শক্তি, বুদ্ধি ও কাজের বিচারে বাঘ, শিয়াল ও ছাগলছানার আচরণ কেমন তা লেখো।
উত্তর :বাঘ : বাঘ সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। তবে সে একেবারেই বোকা। তাই সে প্রথমেই তার ভাগ্নে শিয়ালের কথায় নিবোর্ধের মতো ভীষণ রেগে গেল। ভাগ্নেকে ল্যাজে বেঁধে নিয়ে ভাগ্নের বাসায় হাজির হল। কিন্তু সেখানে নরহরি দাস রূপী ছাগলছানার ছলনাময় কথা শুনে প্রাণের ভয়ে তক্ষুনি পঁচিশ হাত এক-এক লাফ দিয়ে তার বাসায় ফিরে এলো। একটা বাঘের পক্ষে এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয়।
শিয়াল : প্রাণীসমূহের মধ্যে সবচেয়ে চালাক হল শিয়াল। কিন্তু এই গল্পে সেও তার বাঘমামার মতো মারাত্মক বোকামি করেছে। প্রথমে তার গর্তে লুকিয়ে থাকা কালো ছাগলছানাকে দেখে সে রাক্ষস-টাক্ষস মনে করেছে। পরে আবার বাঘমামার পরামর্শে তার ল্যাজে বাঁধা হয়ে সে তার গর্তে এসেছে এবং বাঘ ভয় পেয়ে গেলে ফিরে পালানোর সময় তার ল্যাজে বাঁধা অবস্থায় শিয়াল জমির আলে মারাত্মক ঠোক্কর খেয়েছে। এটাও এক হাস্যকর ঘটনা এবং শিয়ালের কাছে লজ্জাজনক কাজ।
ছাগলছানা :শক্তির বিচারে ছাগল সবচেয়ে দুর্বল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে যে উপায়ে আত্মরক্ষা করেছে তাতে তার অসাধারণ দ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। এমন কাজ প্রশংসার যোগ্য।
১৮. নিম্নলিখিত অংশে উপযুক্ত ছেদ ও যতিচিহ্ন বসাও :
উত্তর : উত্তরঃ খেয়ে তার পেট এমন ভারী হলো যে, সে আর চলতে পারে না। সন্ধে হলে ষাঁড় এসে বলল, ‘এখন চলো বাড়ি যাই’। কিন্তু ছাগলছানা কী করে বাড়ি যাবে? সে চলতেই পারে না। তাই সে বললে, ‘তুমি যাও আমি কাল যাব’।
১৯. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
মস্ত, বাইরে, লম্বা, ব্যস্ত, নিশ্বাস, সর্বনাশ, দূর।
উত্তর :মস্ত ➙ ক্ষুদ্র।
বাইরে ➙ ঘরে, ভিতরে।
লম্বা ➙ বেঁটে, খাটো।
ব্যস্ত ➙ ব্যস্ততাশূন্য।
নিশ্বাস ➙ প্রশ্বাস।
সর্বনাশ ➙ সর্বপ্রাপ্তি।
দূর ➙ নিকট।
Class 4 Bengali Question & Answer – নরহরি দাস
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১. ছাগলছানার মা তাকে কীভাবে সাবধান করত? তার ভয় কাটল কীভাবে?
উত্তর :ছাগলছানা তখনও বড়ো হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেও তার মা তাকে সাবধান করে বলত—যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!’ এরপর ছাগলছানা একটু বড়ো হল, তার ভয়ও কেটে গেল।
২. বনে সন্ধে হয়ে এলে সেখানে কোন পরিস্থিতি তৈরি হল?
উত্তর : ষাঁড়ের সঙ্গে অন্য বনে গিয়ে ছাগলছানা অনেক ঘাস খেয়ে ফেলল। সে এত বেশি ঘাস খেয়ে ফেলল যে সে আর চলতে পারল না। সন্ধে হয়ে এলো। ষাঁড় এসে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাইল। কিন্তু ছাগলছানা চলতে না পেরে বলল, ‘তুমি যাও, আমি কাল যাব।’ ষাঁড় চলে গেলে ছাগলছানা একটা গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতরে ঢুকে রইল।
৩. ছাগলছানাকে শিয়াল ভয় পেল কেন?
উত্তর : শিয়াল তার বাঘমামার বাড়িতে রাতে নেমন্তন্ন খেয়ে ফিরে দেখল তার গর্তে কীরকম একটা জন্তু ঢুকে রয়েছে। ছাগলছানাটা কালো ছিল। শিয়াল অন্ধকারের ভিতর তাকে ভালো করে দেখতে পেল না। সে ভাবল সেটা বুঝি রাক্ষস-টাক্ষস হবে। এই ভেবে সে দারুণ ভয় পেয়ে গেল।
৪. বাঘের উপর শিয়ালের রাগ হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তর : ভয় পেয়ে শিয়াল তার বাঘমামার কাছে নালিশ জানাতে গিয়েছিল। বাঘ খুব বীরত্ব দেখিয়ে শিয়ালকে তার ল্যাজে বেঁধে শিয়ালের গর্তের কাছে গিয়েছিল। গর্তে লুকিয়ে থাকা নরহরি দাস অর্থাৎ ছাগলছানাটার গায়ের জোর পরীক্ষা করতে এসেছিল। কিন্তু দশটা বাঘের মূল্য নিয়ে শিয়াল মাত্র একটা বাঘ ধরে এনেছে দেখে গর্তের ভিতর থেকে নরহরি দাস গর্জন করে উঠল। ফলে বাঘ পিছন ফিরে পঁচিশ হাত এক-এক লাফ দিয়ে ছুটে পালাল। বাঘের ল্যাজে বাঁধা অবস্থায় শিয়াল জমির আলে খুব ঠোক্কর খেতে খেতে বাড়ি ফিরল। সেই থেকে বাঘের ওপর শিয়ালের এমনিই রাগ হল যে, সে রাগ আর কিছুতেই গেল না।
২০. এই গল্পে শিয়ালকে নাকাল হতে দেখা গেছে। তুমি আরও এমন দুটি গল্প সংগ্রহ করো যেখানে একটিতে শিয়াল তার বুদ্ধির জোরে জিতে গেছে এবং অন্যটিতে সে তা পারেনি।
উত্তর :হ্যাঁ, আমার এরকম দুটি গল্প জানা আছে একটি গল্পে শিয়াল তার বুদ্ধির জোরে জিতে গেছে। আবার, অন্য একটি গল্প আছে যেখানে শিয়াল তার বুদ্ধি খাটিয়েও তার উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি।
কাক ও শিয়ালের গল্প
একবার একটি দুষ্টু কাক কোনো এক মাংসের দোকান থেকে এক খণ্ড মাংস ছোঁ মেরে তুলে নিল। তারপর বনের মাঝে একটা গাছের ডালে গিয়ে বসল। সেই গাছের নীচ দিয়ে যাচ্ছিল একটা শিয়াল। শিয়ালটার হঠাৎ নজর পড়ল গাছের ডালে সেই কাকের ওপর কাকের মুখে মাংস দেখে তার ভীষণ লোভ হল। সে চিন্তা করতে লাগল কীভাবে কাকের কাছ থেকে ওই মাংসের টুকরো কেড়ে নিতে পারবে। হঠাৎ তার মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। সে কাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করল। ওপর দিকে মুখ তুলে সে বলল কাক ভায়া তুমি দেখতে খুব সুন্দর। তোমার মতো সুন্দর পাখি আমি আর কোথাও দেখিনি। এসো আমরা দুজন বন্ধু হয়ে যাই। কাক কোনো উত্তর দিল না। শিয়াল বলল- কাক ভায়া তুমি অনেকদিন গান শোনাওনি। তোমার গান শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। একবার তোমার মধুর সুর শোনাবে কি? কাক এবারও কোনো সাড়া দিল না।
শিয়াল বলল আমি কোকিলের গান শুনেছি, কিন্তু যে যতই বলুক তার গান ভালো, আমি তবু বলব তুমি যত সুন্দর তোমার গানও তত সুন্দর। কাক এবার চিন্তা করল, সত্যই হয়তো তার কণ্ঠস্বর সুন্দর হয়ে উঠেছে। তাই সে খুশি হয়ে একবার কা-কা করে শিয়ালকে গান শোনাতে চাইল। সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ থেকে মাংসের টুকরো মাটিতে পড়ে গেল। চালাক শিয়াল মাংস খণ্ডটা মুখে তুলে নিয়ে গভীর বনে চম্পট দিল।
শিয়ালের সাজা
একবার এক শিয়ালের দারুণ খিদে পেয়েছিল। খাবারের খোঁজে সে তখন বন থেকে বেরিয়ে গ্রামের ভিতরে রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল। ঘুরতে ঘুরতে সে হঠাৎ এক ধোপার বাড়ির উঠোনে ঢুকে পড়ল। ধোপার বাড়িতে ছিল পোষা এক কুকুর। সে শিয়ালকে দেখতে পেয়ে তাড়া করল। প্রাণভয়ে শিয়াল দৌড়ে পালাতে গিয়ে ধোপার বাড়ির নীলগোলা জলের গামলায় উলটে পড়ল। সারা শরীরে নীল রং মাখানো হয়ে শিয়ালের একটা অদ্ভূত রূপ হয়ে দাঁড়াল। মনের দুঃখে শিয়াল আবার বনের ভিতর ফিরে গেল। দূর থেকে তার বিচিত্র চেহারা দেখে অন্যান্য শিয়াল এবং অন্যান্য প্রতিটি প্রাণী ভয়ে পালাতে লাগল। এমনকি বাঘ-ভালুক-সিংহ—এরাও চিন্তা করল, এ নিশ্চয় ভয়ংকর শক্তিশালী কোনো জানোয়ার, এটা আমাদের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। এই বুঝে বাঘ, সিংহ, ভালুক সকলেই ভয়ে ভয়ে খানিক দূরে দূরে সরে দাঁড়াল। বুদ্ধি খাটিয়ে শিয়াল বলল, শোনো ভাই সকলে। আমাকে বনদেবী এখানে পাঠিয়েছেন তোমাদের প্রত্যেকের মঙ্গল করার জন্য। তোমাদের সকলের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তা লক্ষ রাখার জন্য। আমি এখন থেকে এই বনের রাজা। তোমরা আমার আদেশ মেনে চলবে।
সমস্ত পশু তখন তার সামনে হাজির হল এবং সকলে তার আদেশ মেনে চলবে বলে স্বীকার করল। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল। কিন্তু ধীরে ধীরে শিয়ালের চালচলন দেখে অন্যান্য শিয়ালদের মনে একটু একটু করে সন্দেহ দানা বাঁধতে লাগল। একদিন এক বুড়ো শিয়াল গোপনে অন্যান্য শিয়ালদের সঙ্গে একটা আলোচনা করল। বলল, ওই রাজা সেজে বসা প্রাণীটা সত্যি সত্যিকে তা যাচাই করা দরকার। এই যুক্তি করে তারা অকস্মাৎ বনের এক কোণে গিয়ে সদলবলে হুক্কাহুয়া রব করে উঠল। রাজা সেজে বসা নীলবর্ণ শিয়াল নিজেকে আর সামলে রাখতে না পেরে প্রাণপণে হুক্কাহুয়া বলে উঠল। আর সঙ্গে সঙ্গেই সে যে একটা শিয়াল তা ধরা পড়ে গেল। বাঘ, সিংহ, হাতি সকলে খুব রেগে গিয়ে এবার তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। শিয়াল মরে গেল।
২১. গল্পে কোন্ কোন্ প্রাণীর নাম খুঁজে পেলে? এদের খাদ্য ও বাসস্থান এবং স্বভাব উল্লেখ করো।
উত্তর : গল্পে ছাগল, ষাঁড়, শিয়াল এবং বাঘের নাম খুঁজে পাওয়া গেল। ছাগল গৃহপালিত প্রাণী। এরা মানুষের সঙ্গে থাকে। এরা তৃণভোজী। অর্থাৎ, এরা সবুজ ঘাস খেতে ভালোবাসে। এরা খুবই নিরীহ স্বভাবের প্রাণী। ষাঁড় গৃহপালিত প্রাণী। এরা মানুষের সঙ্গে থাকে। এরাও তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস পাতা ছাড়াও এরা খড়, ধানের ভূষি, খইল ইত্যাদি খায়। ষাঁড় একটু রাগী প্রকৃতির হয়। তবে সহজে কারও অনিষ্ট করে না। কেউ এদের ক্ষতি করতে চাইলে শিং বাগিয়ে তেড়ে আসে। শিয়াল বনের পশু। বনে বাস করে। গর্তের ভিতর লুকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে খাবারের খোঁজে রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এরা মাংস খায়। শিয়ালকে বলা হয় সবচেয়ে চালাক পশু। এরা খুব দুষ্টু স্বভাবের হয়। বাঘ থাকে গভীর বনে। মাংসাশী প্রাণী। এরা বনের অন্যান্য প্রাণী অর্থাৎ, হরিণ, জেব্রা, বুনো মহিষ, জিরাফ এদের হত্যা করে মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে।