পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি সহায়তা প্রকল্প “কৃষক বন্ধু” স্কিমে ২০২৫ সালে একটি নতুন অনলাইন পোর্টাল চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে এবং কৃষকরা ঘরে বসেই নতুন করে আবেদন বা ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন:
কৃষক বন্ধু স্কিমের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি রাজ্য সরকারের একটি আর্থিক সহায়তা স্কিম যা রাজ্যের চাষিদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে। এই স্কিমের আওতায়:
- প্রাপ্তবয়স্ক কৃষকরা বছরে দুই কিস্তিতে সর্বোচ্চ ₹১০,০০০ টাকা পান।
- ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা পান ₹৪,০০০ টাকা পর্যন্ত।
নতুন পোর্টালে কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনি যদি প্রথমবার আবেদন করতে চান, তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- ওয়েবসাইটে যান: https://krishakbandhu.wb.gov.in/
- “New Registration” বা “Apply Now” বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার নাম, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, জমির তথ্য ইত্যাদি সঠিকভাবে দিন।
- ফর্ম পূরণের পর সাবমিট করুন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি সংরক্ষণ করুন।
বিশেষ টিপস:
খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর এবং আধার তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে দিন।
অফলাইনে কৃষক বন্ধু স্কিমে আবেদন করার পদ্ধতি (2025)
যদি আপনার কাছে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট বা ডিজিটাল সুবিধা না থাকে — তাহলে আপনি নিচের প্রক্রিয়ায় অফলাইনে আবেদন করতে পারেন:
নিকটস্থ কৃষি অফিসে যান
- আপনার ব্লকের B.D.O অফিস, কৃষি সহায়তা কেন্দ্র (KCC), অথবা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
- এই অফিসগুলিতেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফর্ম পাওয়া যায় এবং আবেদন গ্রহণ করা হয়।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করুন
আবেদন ফর্ম পূরণ করার আগে আপনার সঙ্গে নিচের কাগজপত্রগুলি রাখুন:
- আধার কার্ড (আবশ্যিক)
- ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড (পরিচয় প্রমাণ)
- জমির দলিল বা খতিয়ান / দাগ নম্বর
- ব্যাংক পাসবুকের ফটোকপি (সক্রিয় অ্যাকাউন্ট)
- সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- মোবাইল নম্বর
ফর্ম পূরণ ও জমা
- অফিস থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করুন।
- সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করুন — ভুল যেন না হয়।
- সমস্ত ডকুমেন্টস ফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করে অফিসে জমা দিন।
- অফিস থেকে একটি রিসিভিং কপি বা একনলেজমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করে রাখুন।
স্ট্যাটাস জানতে কী করবেন?
- আপনার ফর্ম জমা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে, আপনি চাইলে ওই অফিস থেকেই আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস জানতে পারেন।
- কখন টাকা আসবে, বা কোনো ভুল থাকলে, তারা আপনাকে জানাবে।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- জমির তথ্য যেন সঠিক হয়। ভুল জমির নাম্বার দিলে টাকা আটকে যেতে পারে।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ও আধার-লিংক করা থাকতে হবে।
- আপনি চাইলে আপনার পঞ্চায়েত সদস্য বা গ্রাম রোজগার সহায়ক থেকেও সাহায্য নিতে পারেন।
আগের আবেদন করলে কীভাবে সংশোধন করবেন?
Read More:- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার জুলাই ২০২৫
যদি আপনি আগে আবেদন করে থাকেন এবং কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে পোর্টাল থেকে নিজেই তা সংশোধন করতে পারবেন।
- পোর্টালে লগইন করুন: রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও আধার নম্বর ব্যবহার করে।
- “Application Correction” অপশনে যান।
- সংশোধন করুন:
মোবাইল নম্বর
জমির তথ্য
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর
সংশোধন করার পর সাবমিট করে রসিদ ডাউনলোড করে রাখুন।
সমস্যা হলে আপনার স্থানীয় ব্লক কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।