কোন ফলে কোন অ্যাসিড থাকে

কোন ফলে কোন অ্যাসিড থাকে ফলের স্বাদ, টকতা, এবং পুষ্টিমূল্য এই বিভিন্ন প্রকারের এসিডের সমন্বয়ে নির্ধারিত হয়। উপরোক্ত তালিকায় উল্লেখিত এসিডগুলো বিভিন্ন ফলজাত দ্রব্যে পাওয়া যায় এবং এগুলোর উপস্থিতি প্রতিটি ফলকে স্বতন্ত্র করে তোলে।

  • সিট্রিক এসিড: প্রধানত লেবু, কমলা, লাইম, গ্রেপফ্রুট ও ট্যানজারিনে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
  • ম্যালিক এসিড: আপেল, চেরি, পিয়ার, প্লাম, পিচ ও এপ্রিকটের টক স্বাদে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • টারটারিক এসিড: প্রধানত আঙ্গুরে এবং আঙ্গুরজাত দ্রব্যে উচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান।
  • অ্যাসকরবিক এসিড (ভিটামিন C): কমলা, কিউই, স্ট্রবেরি, গুয়াভা, পাপাইয়া ও আমে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
  • অক্স্যালিক এসিড: স্টার ফ্রুট, পালং ও কিছু অন্যান্য শাকসবজিতে ছোট পরিমাণে থাকে।
  • এলেগিক এসিড: রাসবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও পোমেগ্রানেটে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বিদ্যমান।
  • গ্যালিক এসিড: আঙ্গুর, ব্লুবেরি ও অন্যান্য বেরিতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়।
  • সাকসিনিক এসিড: আঙ্গুর এবং আনারসে হালকা পরিমাণে উপস্থিত থাকে, স্বাদে মৃদু প্রভাব ফেলে।
  • ফিউমারিক এসিড: কিছু ফল ও সবজিতে (বিশেষ করে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যে) কম পরিমাণে পাওয়া যায়।
  • শিকিমিক এসিড: প্রধানত উদ্ভিদ ও কিছু ফলজাত দ্রব্যে পাওয়া যায়, যেমন স্টার অ্যানিসের মধ্যে।

নীচে “A to Z” আকারে ফলজাত এসিডগুলোর এক লাইনের সারাংশ প্রদান করা হলো (যেখানে প্রযোজ্য):

  • A – Ascorbic Acid: কমলা, কিউই, পাপাইয়া ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় (ভিটামিন C)।
  • B – Benzoic Acid: ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি ও র‌্যাসবেরিতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান, যা প্র konserভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
  • C – Citric Acid: লেবু, কমলা, লাইম, গ্রেপফ্রুট ও ট্যানজারিনে প্রধান এসিড হিসেবে উপস্থিত।
  • D – Dehydroascorbic Acid: ভিটামিন C-এর অক্সিডাইজড ফর্ম; বিভিন্ন ফলের মধ্যে (সাইট্রাস ও বেরি) দেখা যায়।
  • E – Ellagic Acid: স্ট্রবেরি, র‌্যাসবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও পোমেগ্রানেটে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পাওয়া যায়।
  • F – Fumaric Acid: আপেল ও আঙ্গুরে স্বল্প মাত্রায় বিদ্যমান, যা ফলের স্বাদে সামান্য অবদান রাখে।
  • G – Gallic Acid: আঙ্গুর, ব্লুবেরি ও অন্যান্য বেরিতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পাওয়া যায়।
  • H – Hydroxycitric Acid: Garcinia cambogia (হলুদ ফল) এ খোঁজা যায়, যা কিছু ডায়েটরি সাপ্লিমেন্টে ব্যবহৃত।
  • I – Isoascorbic Acid: সাইট্রাস ফলের মধ্যে ভিটামিন C-এর একটি স্টেরিওইজোমার হিসেবে পাওয়া যায়।
  • J – সাধারণত “J” দিয়ে শুরু এমন কোন প্রাচীন ফল এসিডের নাম প্রচলিত নয়।
  • K – Kojic Acid: মূলত ফাঙ্গাস ও কিছু ফার্মেন্টেশন পণ্য থেকে পাওয়া যায়; ফলজাত নয়।
  • L – Lactic Acid: ফলের ফার্মেন্টেশনে (যেমন ফলের জুস বা মসলাযুক্ত পানীয়) গঠিত হতে পারে।
  • M – Malic Acid: আপেল, চেরি, পিয়ার, প্লাম ও পিচে প্রাধান্যভুক্ত, ফলের টকতা ও সতেজতা প্রদান করে।
  • N – Nicotinic Acid: (নিয়াসিন) কিছু ফল যেমন এভোকাডো ও কলাতে ছোট পরিমাণে পাওয়া যায়।
  • O – Oxalic Acid: স্টার ফ্রুট এবং অন্যান্য কিছু ফল ও শাকসবজিতে কম পরিমাণে বিদ্যমান।
  • P – Pectic (Polygalacturonic) Acid: আপেল, সাইট্রাস ও বেরিতে পেকটিনের মূল উপাদান হিসেবে পাওয়া যায়, যা ঘনত্ব ও ফাইবার সরবরাহ করে।
  • Q – “Q” দিয়ে শুরু এমন কোন স্বীকৃত ফল এসিডের নাম প্রচলিত নয়।
  • R – “R” দিয়ে সাধারণ ফল এসিডের নাম নেই (অন্য কোন R-এসিড প্রচলিত নয়)।
  • S – Succinic Acid: আঙ্গুর, আপেল ও টমেটোর মতো ফলগুলোতে হালকা মাত্রায় উপস্থিত থাকে।
  • T – Tartaric Acid: আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়; ওয়াইনের মূল এসিড হিসেবে ব্যবহৃত।
  • U – Uronic Acids: যেমন গ্লুকুরোনিক এসিড, যা পেকটিনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফল ও সবজিতে বিদ্যমান।
  • V – Vanillic Acid: ভ্যানিলা এবং কিছু ফলজাত দ্রব্যে (স্বল্প পরিমাণে) প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পাওয়া যায়।
  • W – “W” দিয়ে শুরু এমন কোন সাধারণ ফল এসিডের নাম নেই।
  • X – “X” দিয়ে শুরু এমন কোন পরিচিত ফল এসিড নেই।
  • Y – “Y” দিয়ে শুরু এমন কোন পরিচিত ফল এসিড নেই।
  • Z – “Z” দিয়ে শুরু এমন কোন প্রচলিত ফল এসিড নেই।

এই তালিকা ফলের বৈচিত্র্যময় রসায়নিক গঠন ও তাদের পুষ্টিগত ও স্বাদগত প্রভাবের একটি সার্বিক ধারণা প্রদান করে। বিজ্ঞান ও খাদ্য শিল্পের গবেষণায় এই এসিডগুলোর গুরুত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট তালিকা পাওয়া যেতে পারে।

বি.দ্র.:
ফল ও উদ্ভিদের মধ্যে এসিডের উপস্থিতি বিভিন্ন উপাদানের (প্রকার, প্রাকৃতিক বৃদ্ধি পরিবেশ, প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়া) উপর নির্ভর করে, তাই উক্ত তালিকাটি সাধারাণ দিক নির্দেশনার জন্য উপযোগী। প্রয়োজনে আরও নির্দিষ্ট গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুসারে তালিকাটি বিস্তৃত করা যেতে পারে।

Download Full PDF File Here

× close ad